মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
চাঁদা আদায় ও প্রাণনাশের হুমকি
সুন্দরগঞ্জে আত্মহত্যার ঘটনায় যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টা
ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি আত্মহত্যার ঘটনায় মো. রফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টায় মিথ্যা মামলা, মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১০ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা গ্রামের পিয়ার হকের ছেলে।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রফিকুলের ছোট বোন মোছা. শারমিন আক্তারের বিয়ে হয় একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি মোছা. মর্জিনা বেগম তাদের শয়নঘরের গোপন মুহূর্তে দরজা ও বেড়ার ফাঁক দিয়ে বারবার উঁকি দিতেন। একাধিকবার হাতেনাতে ধরা পড়ার পর স্থানীয়ভাবে শালিসও হয়েছে। কিন্তু, শালিসে কোনো পরিবর্তন না আসায় মতিয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে মানসিক চাপ ও লজ্জাজনিত কারণে মতিয়ার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পর তার পিতা হোসেন আলী জানান, কেউ দোষী নয়, ছেলেটি নিজেই আত্মহত্যা করেছে। ওই বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি।

রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আত্মহত্যার ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র তাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে শনাক্ত করে মিথ্যা মামলা এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভয়ে তিনি গরু, ছাগল ও দোকানের মালামাল বিক্রি করে প্রথমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এরপর ২০২৪ সালের ১ মে রাতে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলামের বাড়ির বৈঠকখানায় সাবেক ইউপি সদস্য মো. মাইদুল ইসলামসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে তাকে আরও ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম ওই টাকা গুনে নেন। পুরো ঘটনার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে বলে রফিকুল দাবি করেন।

রফিকুল আরও জানান, চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম থানায় মীমাংসার কথা বলে ব্যক্তিগতভাবে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই চক্রটি এখনও আমাকে হত্যা এবং আমার বোনকে অপহরণের হুমকি দিচ্ছে। ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে, সংসারও ধ্বংসের পথে।

এ বিষয়ে তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সামনে টাকা লেনদেন হয়েছে, তবে আমি কাউকে টাকা দিইনি বা নিইনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়েছিল।’

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

আজকালের খবর/ওআর








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
৯৬ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া
বাউল শিল্পী মো. নূর হোসেনের সংগীতযাত্রা
বাউল শিল্পী মিজানুর রহমানের গান হৃদয়ে ঢেউ তোলে
জুলাইয়ে তরুণরা যা করেছে, তা চিরস্মরণীয়: প্রধান উপদেষ্টা
গানের ভেতর একজন সাইফ উদ্দিন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
নিজ হাতে আইন তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি মমিনুর রশীদ, মহাসচিব কামরুল ইসলাম
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩০
এরশাদের স্মরণসভায় একমঞ্চে পাঁচ অংশের নেতারা, জাপা গড়ার প্রতিশ্রুতি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft