
‘ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার’ অভিযোগ তুলে নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলীর অপসারণ চেয়েছে ৩১টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মোর্চা— গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য।
“সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন, যা কবি নজরুলের চেতনা ও সৃষ্টিকর্মের বিপরীত,” বলের মোর্চার নেতারা।
শিবলীর পদে নজরুলসংশ্লিষ্ট কোনো শিল্পী বা গবেষককে বসানোর দাবি জানিয়ে শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন মোর্চার নেতারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “লতিফুল ইসলাম শিবলী একজন ব্যান্ডসংগীত শিল্পী। তিনি নজরুলসংশ্লিষ্ট শিল্পী, প্রশিক্ষক বা গবেষক নন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন বক্তব্যে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন, যা কবি নজরুলের চেতনা ও সৃষ্টিকর্মের সম্পূর্ণ বিপরীত।
“নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেন না— এমন ব্যক্তি নজরুল ইনস্টিটিউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্য হতে পারেন না। ফলে তাকে ওই পদ থেকে অতি দ্রুত অপসারণ করে একজন নজরুল গবেষক বা জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীকে নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
বিজ্ঞপ্তটি সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছেন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের কার্যকরী সদস্য জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা লতিফুল ইসলাম শিবলীর অপসারণ চাই। তার মতো সাম্প্রদায়িক চিন্তার মানুষ নজরুলের নামাঙ্কিত একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকার যোগ্যতা রাখেন না।”
তাদের এমন দাবি ও অভিযোগের বিষয়ে লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, “এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করব না।”
২০২৩ সালের ৬ মে ‘প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে রাজধানীর ৩১টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়। বিভিন্ন প্রতিবাদী কর্মসূচিও পালন করে তারা।
জুলাই গণঅভ্যুথানেও তাদের অংশগ্রহণ ছিল। ২৬ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কারফিউ ভঙ্গ করে প্রতিবাদী সমাবেশ ও গানের মিছিল করে তারা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ১৭ অগাস্ট থেকে ‘প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’ ব্যানারের নামকরণ করা হয় ‘গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য’।
আজকালের খবর/আতে