প্রকাশ: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৯:৫৪ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় ৫০ কোটি টাকা স্টোর রেন্ট ফাঁকি দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর জাল করে বন্দর থেকে আমদানি করা মূল্যবান যন্ত্রপাতি খালাসের হোতা তৌহিদুল ইসলাম শুভকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, তৌহিদুল ইসলাম নিজেকে সামরিক বাহিনীর মেজর পরিচয় দিতেন। তার কাছ থেকে সামরিক পোশাকযুক্ত মেজর পদের ভুয়া পরিচয়পত্র, অনেকগুলো মেজর পদের ভিজিটিং কার্ড, আটটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
সিআইডি জানায়, দেশের স্বনামধন্য বসুন্ধরা মাল্টি স্টিল কোম্পানি লিমিটেড মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের জন্য বিভিন্ন সময় আনা প্রায় ১৩৯টি কন্টেইনারে মূল্যবান যন্ত্রপাতি আমদানি করে। কিন্তু যথা সময়ে খালাস না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে কোম্পানির প্রায় ৯২ কোটি টাকা স্টোর রেন্ট বকেয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে স্টোররেন্ট মওকুফের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে কোম্পানি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন থাকাকালীন প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম এবং আবু হানিফা ওরফে হানাফি ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন স্টোররেন্ট মওকুফপত্র সরবরাহ করে। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যথা নিয়মে ওইসব যন্ত্রপাতি খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে স্টোর রেন্ট মওকুফ পত্রটি জাল বলে জানায়। এর প্রেক্ষিতে মামলা হলে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে তৌহিদুল ইসলাম শুভকে গতকাল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় প্রতারণার দুটি এবং রাজশাহী বোয়ালিয়া থানায় প্রতারণার আরো দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে গোয়ালন্দ থানায় একটি মামলার সাজাসহ মোট চারটি ওয়ারেন্ট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে মোহাম্মদ আবু হানিফা ওরফে হানাফি, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন এবং রনি রাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
আজকালের খবর/আরইউ