প্রকাশ: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩২ PM

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠীর চরম উত্থান ঘটেছে। এই উত্থান আমাদের দেশের অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক অবস্থান- সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, এই মৌলবাদী গোষ্ঠী এদের সুবিধার জন্য হত্যাকাণ্ড ও ঘটাতে পারে এই মৌলবাদী ‘গোষ্ঠী দেশকে পিছুনের দিকে টেনে নিয়ে যাবে সুতরাং এই মৌলবাদী গোষ্ঠীকে মোকাবেলা করাটাও ছাত্র ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।’
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যান্য সংগঠন থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একটু আলাদা। ভাষা আন্দোলন সহ পরবর্তী যেকোন আন্দোলনে তারা নেতৃত্ব দিয়েছে। ৫২ তে ছাত্র ইউনিয়ন জন্ম লাভ করলেও তারা আগে থেকেই সংগঠিত ছিলো। ৫২ তে আমরা ভাষার মর্যাদা পায় নাই। ৫৬ এর পাকিস্তানের সংবিধানে আমরা আমাদের ভাষা শহিদের প্রাপ্ত মর্যাদা ফিরে পেয়েছি। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশের গণমানুষের বিপরীতে কখনো যায়নি। ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৫৬ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজস্ব গেরিলা বাহিনী গঠন, ৯০ গণঅভ্যুত্থান এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই বিল্পব সহ প্রতিটি আন্দোলনে তারা গণ-মানুষের পক্ষে কথা বলেছে। যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।’
বিকাল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের বটতলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী এবং ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
আজকালের খবর/ওআর