সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
বাজার নিয়ন্ত্রণে আইনের বাস্তবায়ন ও জনগণের প্রত্যাশা
মো. জাহারুল ইসলাম
প্রকাশ: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩০ PM আপডেট: ২০.০৪.২০২৫ ৮:৩৮ PM
একটি নিয়ন্ত্রিত বাজার হল এমন একটি বাজার যেখানে সরকারি সংস্থা বা, কম সাধারণভাবে, শিল্প বা শ্রমিক গোষ্ঠী, এক ধরনের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে। বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রায়শই সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং বাজারে কারা প্রবেশ করতে পারে এবং তারা কী দাম নিতে পারে তা নির্ধারণ করে। বাংলাদেশে যে কয়টি উদ্ধারহীন সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো দ্রব্যমূল্য। ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, খরা, উৎসব লাগে না এদেশের পান থেকে চুন খসলেই দামটা আকাশে চড়ে বসে। কারণ বা যুক্তি লাগে না অজুহাত পেলেই দামের পারদটা উপরে ওঠে যায়। দেশীয় ব্যবসায়ী, আরদারা এতটাই সংঘবদ্ধ যে, তারা চাহিবামাত্র নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ধরে যায়। তৈরি হয় কৃত্রিম সংকট, তাদের ইশারায় লাটে ওঠে মানুষের জীবন। তাদের অঙ্গুলি হেলনে দুই মুঠো জোটতেই মানুষের জান যায় যায় অবস্থা। দামের পাগলা ঘোড়ার লাগাম যে, সিংহ ভাগ ব্যবসায়ীদের হাতে তা ব্যবসায়ী নেতারা কখনো স্বীকার করেননি। এ তথ্য সরকারি গবেষণাতেও ওঠে এসেছে। 

চাল, আলু, আর পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্দির রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) বলেছে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার কারণে দাম বেড়েছে। বিআরসি উপস্থাপিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সবকারের হাতে পর্যাপ্ত মজুদ ছিল না। ছিল মিলারের হাতে ফলে তারা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাল ছাড়েনি, সরকারের হাতে যদি চাল থাকতো তবে ওএসএমের মাধ্যমে যে বাজারে ছেড়ে নির্ধারণ করা যেত। আলুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা; এটা সরকারের হাতে থাকে না, থাকে ব্যবসায়ীদের হাতে। বন্যার কারণে যখন সবজির উৎপাদন ব্যবহৃত হয় তখন আলুর উপর চাপ পড়ে। আলুর চাহিদা যখন বেড়ে যায়, তখন কোন্ড স্টোরেজ থেকে কোনো আলু বাজারে ছাড়া হয়নি অথচ সারে তিন লাখ টন আলু আমাদের হাতে রয়েছে। সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আলু বাজার ছাড়তে পারেনি। পেয়াজের ক্ষেত্রের আমাদের ঘাটতি রয়েছে। ভারত রাস্তা বন্ধ করায় পেয়াজের সংকট সৃষ্ঠি হয়। সেটি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা। মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া। মানুষের আয় বাড়ছে না, কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে না। কখনো ডিম, কখনো পেঁয়াজ, আলু, সবজি কিংবা কখনো মাছ-মুরগির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভোক্তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের বাজারের হাল দেখে এটিই স্পষ্ট হয় যে বাজারের ওপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে একেকটি নিত্যপণ্যের দাম। সব শ্রেণি-পেশার মানুষই নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দিশাহারা। কোনো কোনো পণ্যের দাম মাসের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গত সেপ্টেম্বর মাসের বাজারদর ও রাজধানীর খুচরা বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে অনেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। 

বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় এখন বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যয় বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তের জীবনে বেশ চাপ সৃষ্টি করছে। দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম না কমাকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা মনে করেন, এর অন্যতম কারণ হলো বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব। বাজার সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেখার বিষয়, দেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কি না। সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো কি সন্তোষজনক? বাজারে কি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা আছে? মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে। প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারের যেসব বিভাগ ও সংস্থা রয়েছে, তাদের কার্যক্রম নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যেন বাজারকে অস্থির করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

অন্তর্বর্তী সরকার শুল্কছাড় ও আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়ার মতো কিছু সুবিধা দিলেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ে প্রতি জেলায় বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাদের সীমিত জনবল নিয়ে বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে, কিন্তু এই অভিযানেরও বাজারে কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজার সাধারণের নাগালের মধ্যে আসবে-এটিই আমাদের প্রত্যাশা। ভোগ্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট আছে-সব সময় বলা হয়। কিন্তু কোথায় কীভাবে সিন্ডিকেট হয় সে ব্যাপারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তেমন কোনো তথ্য ছিল না বা থাকলেও সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হতো না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গত আড়াই মাসের মেয়াদে বাজারে অভিযান বেশ জোরদার করা হয়। এসব অভিযানে কোন পণ্যে কোথায় সিন্ডিকেট বা কারসাজি হচ্ছে তা অনেকটাই দৃশ্যমান হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযানেও তথ্য মিলেছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে ধাপে ধাপে সিন্ডিকেট রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, একেক পণ্যে সিন্ডিকেট হয় একেকভাবে। যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান বাজার তদারকি করছে তাদের পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষের পকেট খালি করলেও সরকার ছিল নির্বিকার। এ কারণে বাজার আরো বেসামাল হয় পড়ে। সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের বাজারের এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চাইছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রত্যাশা ছিল এবার হয়তো ভাঙবে বাজার সিন্ডিকেট, কমবে ভোগ্যপণ্যের দাম। বর্তমান সরকারের আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও দেশের সাধারণ মানুষের সে আশা পূরণ হয়নি বরং ডিম, সবজি, মাছ-মাংস, চালসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে গেছে। এতে ক্ষোভ বাড়ছিল ভোক্তাদের। বর্তমান সরকার দাম কমাতে বেশকিছু পণ্যের শুল্ক ছাড়সহ আরো কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে, তাতেও যখন কাজ হচ্ছিল না- সরকার বাজার অভিযান জোরদার করে। একসঙ্গে মাঠে নামায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিন উপ-সচিবের নেতৃত্বে তিনটি টিম। জাতীয় ভোক্তা অধিদফতরের টিমও নামে ঢাকাসহ সারা দেশে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতা কমিশন, বিএসটিআই, কৃষি বিপণন অধিদফতর এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরও নড়েচড়ে বসে। একই সঙ্গে টিসিবি কম দামে বেশকিছু নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করে এবং খাদ্য অধিদফতর ভর্তুকি মূল্যে চাল-আটা বিক্রি শুরু করে। আবার সরকার প্রতিবেশী দেশ থেকে ডিম এবং কাঁচামরিচের আমদানিও উন্মুক্ত করে দেয়। তাদের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে বাজার সিন্ডিকেটের বহুরূপ। যেমন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কশিমনের সদস্য ও বর্তমানে এফবিসিসিআইর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা হাফিজুর রহমান বাজার অভিযানে তার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এতদিন বাজার সিন্ডিকেটের অনেক কথা শুনেছি, কখনো বিশ্বাস করেছি, কখনো বিশ্বাস হয়নি। তবে সম্প্রতি আমি নিজে ঢাকার কয়েকটি বাজার পরিদর্শন করেছি। পাইকারি, খুচরা-পর্যায়ের ব্যবসায়ীদেও সঙ্গে কথা বলে ভেতরের তথ্য জানতে চেয়েছি বা জানার চেষ্টা করেছি। অভিযানে বাজার সিন্ডিকেটের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে অমি বেশ অবাকই হয়েছি। আমার কাছে দুটি পণ্যের সিন্ডিকেটের তথ্য দৃশ্যমান হয়েছে। পণ্য দুটি হলো- আলু ও ডিম।’ আলুতে কীভাবে সিন্ডিকেট হচ্ছে তার চিত্র জানাতে গিয়ে হাফিজুর রহমান জানান, আলুর মূল সিন্ডিকেট হয় হিমাগারে।

নিয়ম হচ্ছে- হিমাগার থেকে যখন পাইকারি ব্যবসায়ীরা আলু কিনবেন, তখন কী দামে কিনছেন সেটি উল্লেখ থাকবে। কিন্তু হিমাগারে যাদের আলু থাকে তারা যখন আলু বিক্রি করেন বা হিমাগার থেকে যখন আলু পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন তখন কি দামে আলু বিক্রি করা হচ্ছে-সেটি জানানো হয় না। আলুর দাম পরে মোবাইল ফোনে জানানো হয়। হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই যে পরে মোবাইল ফোনে দাম জানানো হয়- এখানেই মূল সিন্ডিকেট। কোন দিন বাজারে কেমন দাম চলে সে অনুযায়ী হিমাগারে রাখা আলু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে দেন। যে দাম কখনো অন্য কারো জানার সুযোগ থাকে না।’ আলুর এই সিন্ডিকেটের প্রমাণ মেলায় এটি তদন্ত করে দেখতে ইতোমধ্যেই প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তাদের দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাফিজুর রহমান।

আলুর মতোই ডিমেও সিন্ডিকেটের প্রমাণ মিলেছে। ডিমে অবশ্য কয়েকটি স্তরে সিন্ডিকেট হচ্ছে। আর ডিম ও মুরগিতে সিন্ডিকেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে পোল্ট্রি খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের খামার থেকে যখন ডিম বিক্রি করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে-তখনই মূলত সিন্ডিকেটটা হচ্ছে। 

সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের হতে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছিলেন অধৈর্য হবেন না, দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু কমার লক্ষণ নেই; বিপরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বিশেষ করে ডিম ও সবজির বাজার পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুদ থাকা সত্ত্বেও দামবৃদ্ধি থেমে নেই।  বাজার নিয়ন্ত্রণ বাজার ব্যবস্থাপনা ও তদারকির জন্য সরকারের একাধিক বিভাগ রয়েছে। কিন্তু আমাদের অবস্থান যে লাভ সেই কদু। মাঝে মাধ্যে বাজার পরিদর্শন, কিন্তু অভিযান, জেল জরিমানার নামই বাজার ব্যবস্থাপনা, আর দ্রব্যমূল্যের তালিকা টানিয়ে দেওয়াই নামই হলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। বাজারে অতিরিক্ত মুনাফাখোরি অনুমোদিত মজুদকারী, অবৈধ আড়ৎদার, সংগঠিত সিন্ডিকেট, চাদাবাজ থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত যারা এই অস্থিতিশীলতার সাথে জড়িত তাদের জন্য আইন রয়েছে। কিন্তু এসব আইন অনেক টাকার কাগজের মতো। অনেক আইনের প্রতিষ্ঠানিক রূপরেখা ছিলো কিন্তু বাস্বব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। জনবল কম, সক্ষমতা নিয়েও আছে প্রশ্ন। ভাবতে অবাক লাগে দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ এত আইন থাকার পরও অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম পুরো দেশে। যুগ যুগ ধরে নিত্যপণ্যের বাজারে অরাজকাতা চলছে, যা খুবই হতাশাজনক।

সরকার পরিবর্তনের পর সবার আশা ছিলো আর কিছু না হোক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটলো উল্টো ঘটনা। দ্রব্যমূল্য বাড়লো, মানুষের সীমার বাইরে চলে গেল কিছু কিছু পণ্যের দাম। সাধারণ মানুষ হাহাকার শুরু করলো। দেশে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি শুরু হলো। আমরা বিশ্বাস করি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন নিজেদের দায়িত্বর ও আইনের বাধ্য বাধ্যকতা বুঝতে সক্ষম হবেন। জনগণের প্রত্যাশার দিকে নজর দিয়ে সরকার আইনের প্রয়োগ, নিশ্চিত করবেন। সরকার দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম স্থায়ীভাবে টেনে ধরে তাদের মুখে হাসি ফোটাবে। এ মুহূর্তে এই হবে জনগণের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও অর্থবহ সংস্কার।

লেখক : শিক্ষক ও কলাম লেখক। 

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্লাটফর্মের বিলুপ্তি চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতসহ ৯ বিষয়ে একমত এনসিপি-মজলিস
বাম দলের নেতারা ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন চান
নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল
ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব: আমীর খসরু
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
পূর্বধলায় কুলখানি অনুষ্ঠানে আল্লামা মামুনুল হক
ইসির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে এনসিপি
রাজধানীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৩
দুমকিতে ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
ছেলের কঙ্কাল পেলেও বুকে ধরে মরতে চাই: এক মায়ের আকুতি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft