প্রকাশ: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৫ PM

রমজান মাসে খালার বাড়িতে ইফতারি দিতে গিয়ে নিখোঁজ প্রতিবন্দী সোহাগের সন্ধান মিলেনি ১ মাস ৭ দিনেও। নিখোঁজ প্রতিবন্দী ছেলের খোঁজে খাওয়া-নাওয়া-নিদ্রাহীন দরিদ্র বাবা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম (৪৬). মা শেলিনা বেগম (৩৮) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত অটো চালক বাবা কর্মহীন, মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে।
নিখোঁজের ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ রমজান (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ৯নং গুনাইঘর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রাম থেকে।
নিখোঁজ শারীরিক ও বাক প্রতিবন্দী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন সোহাগ (২১) উপজেলার ৯ নং গুনাইঘর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের ছেলে। পরিবারে ৪ সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে সন্তান সোহাগ এবয় তার ৩ ছোট বোন রয়েছে। তার বাবা পেশায় একজন অটো চালক।
সোহাগ গত ১৪ রমজান থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ওইদিন বিকেলে মায়ের দেয়া ইফতার সামগ্রী নিয়ে প্রতিবন্দী সোহাগ পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুনাইঘর খালার বাড়িতে যান। ইফতার সামগ্রী দিয়ে খালার বাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ সোহাগের বাবা জানান, আমার ছেলে বাড়ি না ফেরায় তাকে খুঁজতে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়ি, বিভিন্ন গ্রাম, পুকুর, হাসপাতাল, থানায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় গত ১৫ মার্চ দেবীদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। আমি হার্টের রোগী, অসুস্থ শরীর নিয়ে অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছি। আমার ছেলে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত, সে বোবা হলেও ধার্মিক ছিল। পরিবারের অভাব অনটনের মাঝে আজ (২০ এপ্রিল) দুপুরে আমার অসুস্থ স্ত্রীকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছি। সকলের প্রতি অনুরোধ আমার নিখোঁজ সন্তানকে পেতে সবাই সহযোগিতা করুন।
মা শিরিন বেগমের আকুতি আমার একমাত্র ছেলে সোহগের হাড় কঙ্কালও যদি খুঁজে পান তাও দিন আমি বুকে জড়িয়ে মরতে চাই।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, থানায় নিখোঁজ ডায়েরী হয়েছে, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে নিখোঁজ প্রতিবন্দী সোহাগকে পেতে সর্বাত্মক চেষ্ট অব্যাহত রেখেছি।
আজকালের খবর/বিএস