প্রকাশ: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৫ PM

স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছাত্র নেতা কৃষিবিদ মো. মনোয়ারুল ইসলাম এনাম দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এক সাহসী সংগঠক হিসেবে ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী সৈনিক হিসেবে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে বেঁচে গিয়ে গণমানুষের অধিকার আদায়ে নিরলস কাজ করে গেছেন।
নব্বইয়ের স্বৈরাশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক আওয়ামী দুঃশাসনের দীর্ঘ ১৬ বছর বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫ জুলাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জিয়া পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ও স্হায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে তিনি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এবং সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার বড় ভাই ডা. মো. সাইদুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ ঈশ্বরদীর রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে তার পিতা মৃত আবু বকর মিয়া ঈশ্বরদীর প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাড়া মাড়োয়ারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন, যিনি জীবদ্দশায় ঈশ্বরদীর জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের সৈনিক হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন। যা তাদের পারিবারিক রাজনৈতিক ভূমিকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ক্লীন ইমেজের নেতা হিসেবে কৃষিবিদ মো. মনোয়ারুল ইসলাম এনাম জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদদের সংগঠন এ্যাব এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য।
কৃষিবিদ মো. মনোয়ারুল ইসলাম এনাম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিভাগে সম্মান ডিগ্রী অর্জন করার পর তিনি এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-রেজিস্ট্রার প্রশাসন ও সংস্থাপন হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষিবিদ সংগঠন এ্যাব-এর মহাসচিব বা সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন প্রত্যান্ত অঞ্চলের কর্মী ও এ্যাবের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া দেশের কৃষি উন্নয়ন ও শিক্ষাখাতে তার অবদান এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার নির্ভীক অংশগ্রহণ স্বরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজকালের খবর/ওআর