প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৮ PM
বাঙালি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বাঙালী জাতির সংস্কৃতি হাজার বছরের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতি। আমাদের এই সংস্কৃতিকে আমরা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে সারা বাংলাদেশে আমাদের প্রায় আড়াই হাজার কলেজে আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর আমরা একটি শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি যা থেকে গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পেয়েছি। সেই মুক্তিটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে একটি ব্যান্ড হিসেবে পরিচিতি দিতে চাই। আমরা আশা করি ২০২৬ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেশন জট নিরসন হবে। একইসঙ্গে আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন প্রদানের প্রতি জোর দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে কলেজগুলোতে মনিটরিং ও অডিটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এভাবেই আমরা সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছি। আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে সঙ্গে নিয়ে একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবো।
মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বেলা ১১টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহের নেতৃত্বে সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ আয়োজন করা হয়। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। রঙিন সাজে সজ্জিত শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে একাডেমিক ভবনের সিনেট হলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এবং গণমানুষের শিল্পী মৌসুমী চৌধুরী এবং পরান আহসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
আজকালের খবর/আরইউ