প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৩ PM

বাংলাদেশের চল্লিশ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপেও একাধিকবার তা প্রমাণিত হয়েছে। দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছেই। স্বল্পমূল্যে এ চিকিৎসা হওয়ায় মানুষ এই পদ্ধতির চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করছেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে হোমিওপ্যাথির জনক ডা.স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ২৭০তম জন্মবার্ষিকী ও ‘হোমিওপ্যাথিক দিবস-২০২৫’ এর সাইন্টিফিক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারটির আয়োজন করে ‘ইনো হোমিও ক্যান্সার সেন্টার’। বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ডা. এম এ কাদেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুল বক্তা ছিলেন ইনো হোমিও ক্যান্সার সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. রাশিদুল হক। এছাড়া চিকিৎসার নানা বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, ডা. নাজমুল হাসান জামসন ও ডা. শাহীন মাহমুদ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম কবীর।
ডা. রাশিদুল হক বলেন, বিকল্প পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। ১৭৯৬ সালে এর উদ্ভাবন করেন ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। রোগীকে অল্প ঔষধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র।
বাংলাদেশের মানুষ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের খুব সহজেই কাছে পাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ স্বল্পমূল্যে থাকার কারণে মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করছেন। আমাদের দেশি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছেন। সকল বয়সের মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করেছেন। হোমিওপ্যাথি একটা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা। সকল বয়সের ও সকল রোগের জন্যই এটা উপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্হা।
আলোচকরা আরও বলেন, ডাক্তারদের মধ্যে পেশাগত অহমিকা, লোভ, হিংসা ইত্যাদি ও মাল্টিন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানিগুলি হোমিওপ্যাথিকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী মনে করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে এবং বর্তমানেও তার ধারাবাহিকতা দৃশ্যমান রেখেছে। আগামী চিকিৎসা ব্যবস্থা হোক নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
আজকালের খবর/ওআর