প্রকাশ: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫৩ PM

মৎস্য, পাথর ও ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ। এ ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের কৃষকরা কৃষি কাজ করেন। এই কৃষির উপর তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। বোরো ধানের ভাণ্ডার হিসেবে সারাদেশে পরিচিত সুনামগঞ্জ। এ ধানেই চলে সারা বছরের খোরাক। ধান বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা, বিয়ে-শাদি ও সংসার চলে এই অঞ্চলের কৃষকদের। ধানকে ঘিরেই চাঙা হয় হাওরের প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থনীতি।
সুনামগঞ্জে এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। তবে বৈশাখ শুরুর আগেই হাওরের কিছু এলাকাকায় ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। এতে তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান হাওরপাড়ের কৃষকরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ১৩৭টি হাওরে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। যেখান থেকে চাল উৎপাদন হবে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৪১৩ টন, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। করচার হাওরের কৃষক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি।
স্বপন কুমার বর্মণ নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘এবার ধান ভালো হয়েছে। বৈশাখ শুরুর আগেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি। সত্যিই অনেক আনন্দ লাগছে কষ্টের ফসল ধান ঘরে তুলতে পেরে।’
কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হাওরের কৃষকরা যদি একমাস সময় হাতে পান, তাহলে হাওরের সম্পূর্ণ ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, সুনামগঞ্জে এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে ৮০ শতাংশ ধান পাকলে তারপরই কাটেন। সুনামগঞ্জের ১৩৭ হাওরে আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা বৈশাখ থেকে ধান কাটা শুরু হবে।
ধান কাটা উৎসবে কৃষি উপদেষ্টা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওরের বোরো ধান পরিদর্শন করে পাকা ধান দ্রুত কাটতে পরামর্শ দেন।
আজকালের খবর/ওআর