প্রকাশ: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪১ PM আপডেট: ০৯.০৪.২০২৫ ৮:১০ PM

পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় সজিরন খাতুন নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব পাবনা ক্যাম্পের একটি দল।
গ্রেপ্তার জিয়া সরদার সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের ইসাহাক সরদারের ছেলে। নিহত সজিরন খাতুন একই উপজেলার পশ্চিম চর বলরামপুর গ্রামের মৃত হেকমত আলী প্রামানিকের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্ত ছিলেন এবং তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, গত ৩১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত দশটার দিকে পশ্চিম চর বলরামপুর এলাকায় গৃহবধূ সজিরন খাতুনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। আহত সজিরন খাতুনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিরনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল গফুর প্রামানিক বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জিয়া সরদারকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের একটি দল পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া সরদারকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, গতকাল সকালে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজকালের খবর/ওআর