সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মদপান করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একজন এবং বুধবার ভোরে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অসুস্থ হয়েছেন আরও নয় জন। এর মধ্যে পাঁচ জনকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চার জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ঈদের দিন সন্ধ্যায় মদপানের পর রাত ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়তে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃতরা হলেন- আশাশুনি উপজেলার শাহানগর গ্রামের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও তেঁতুলিয়া গ্রামের নাজমুল হোসেন (৩৫)। জাকির হোসেন কাদাকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন।
এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ব্রাহ্মণ তেঁতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেঁতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ নয় জন। এর মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফারুককে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ইমরানকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া শশ্মানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন ও নাজমুলসহ ১১ জন মদপান করেন। তারা নিজ নিজ বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে জাকিরের ও বুধবার ভোরে নাজমুলের মৃত্যু হয়।
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন টুকু বলেন, ‘জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল হোসেন বিষাক্ত জাতীয় কোনও পানীয় খেয়ে মারা গেছেন।’
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নোমান হোসেন বলেন, ‘বিষাক্ত মদপানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের জন্য জাকির হোসেনের মরদেহ বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর নাজমুলের মরদেহও মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
আজকালের খবর/ এমকে