প্রকাশ: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ২:১৪ AM

বরগুনায় কথিত ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে অর্ধ অচেতন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সর্বস্ব লুটে নেয়ার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নং বরগুনা ইউনিয়নের ঢলুয়া এলাকা থেকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বরগুনা সদর ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে মামুন খান (৪৫) ও রাজ্জাকের ছেলে রাব্বি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারক চক্রটি প্রতিনিয়ত প্রতারণার মাধ্যমে লঞ্চ, বাস ও বড় বড় বাজারে গিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদেরকে টার্গেট করে শয়তানের নিঃশ্বাস ব্যবহার করে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার সর্বস্ব লুট করে নেয়। এছাড়া প্রায় আটমাস পূর্বে বরগুনা পুরাকাটা ফেরিঘাটের নিকটবর্তী স্থানে যাত্রীবেশে ইজি বাইকে উঠে ড্রাইভারকে চেতনানাশক ঔষধের (কথিত শয়তানের নিঃশ্বাস) মাধ্যমে অবচেতন করে ড্রাইভারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে তার নিকট আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রতারকরা কল করে তারা নিজেদেরকে ডিবি পরিচয় দেয় এবং অটো ড্রাইভার তাদের হাতে আটক রয়েছে বলে জানায়। তারা ড্রাইভারের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। এ সংক্রান্তে বরগুনা থানায় একটি মামলা হয় যার নং ১৫/২৪। পরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের প্রধানকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সেই ঘটনার সাথে জড়িত আরো একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিলো । গতকাল প্রতারক চক্রের আরো দুজন মামুন ও রাব্বিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক বিক্রির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বরগুনা শহরের আনাছে কানাচে গ্রামের সহজ-সরল মানুষদেরকে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়ে সর্বোচ্চ লুটে নিয়ে একটা মানুষকে সর্বশান্ত করে দেয় এরা। সেই চক্রের মূল হোতাকে আমরা খুঁজে বের করেছি। আগেও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আজকেও সেই চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বাকি যারা রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এই চক্রটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, ফিটিংবাজী, মাদক ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বরগুনা থেকে এই ধরনের প্রতারকদের নির্মূল করা হবে।
প্রসঙ্গত, কথিত ‘শয়তানের নিশ্বাস’ মানে এক ধরনের মেডিসিন, যেটা প্রয়োগের ফলে মানুষ প্রয়োগকারী ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
আজকালের/ওআর