পাট ও পেঁয়াজের পাশাপাশি ফরিদপুরের সালথায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, কাশ্মিরি, নারকেলী, আপেল কুলসহ নানান জাতের কুল চাষ। বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরীকে বেছে নিয়েছেন। বাগান করে অনেকেই পেয়েছেন সফলতা। তাই কুল চাষের দিকে ঝুকছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
জানা যায়, কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এবার সালথা উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে ৫০ জন কৃষক কুল চাষ করেছেন। বাগানে ছোট ছোট গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে মিষ্টি-রসালো ভারত সুন্দরী ও বল সুন্দরী কুল।কৃষকেরা প্রতিনিয়ত জমি থেকে কুল ছিড়ে বাজারে বিক্রি করছেন। সুস্বাদু ফল হিসেবে অনেকেই কুল পছন্দ করেন।
উপজেলার কুল চাষি আরিফ খন্দকার ও ইমরুল মোল্যা জানান, এবার বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরী জাতের কুলের চারা রোপন করা হয়েছে। রোপনের আট মাসের মাথায় সব গাছে ভালো ফলন এসেছে। ডিসেম্বরর শেষের দিক থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। পুরো এক মাস চলবে কুল বিক্রি। খুব অল্প সময়ে ভালো লাভজনক ফসল কুল। একটি গাছে ৩০ থেকে ৪০ কেজি ফলন হচ্ছে।
উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুড়ে দেখা যায় প্রতি কেজি কুল ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কুল চাষ করে এই এলাকার অনেকেরই ভাগ্য বদল হচ্ছে।
সালথা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, কুল চাষে লাভ বেশি হওয়ায় এবছর সালথায় কুল চাষ বেড়েছে। প্রায় ৩০ একর জমিতে কুলের বাগান রয়েছে। কুল চাষে খরচের তুলনায় ৫০ জন কৃষক লাভবান হবে। কুল চাষে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
আজকালের খবর/ এমকে