বগুড়ার আদমদীঘিতে তিন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে একজনের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আমইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ছিনতাইকারীদের হেফাজতে নিলেও বুধবারও এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আটককৃত ছিনতাইকারীরা হলেন-আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম চৌধুরীপাড়ার মোস্তাকিন পালোয়ানের ছেলে রাজু পালোয়ান (৩১), একই এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে কলম (৩০) ও চয়েন চৌকিদারের ছেলে বাঁধন (২৬)।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে রাজু পালোয়ান ও কলমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং বাঁধনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। সেই সাথে আটক ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ধারালো চাকু, ১৯ হাজার টাকা, বিকাশের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট, ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
ছিনতাইয়ের শিকার বিকাশ এজেন্ট তিলকপুর হাইস্কুল পাড়ার এমরান হোসেন জানান, তিনি তিলকপুর বটতলায় ‘এমরান অটো ব্যাটারি হাউজে’র মালিক, পাশাপাশি তিনি বিকাশের এজেন্ট। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাইসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র তিন ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা টাকাসহ ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বাঁধন নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করলেও অন্য দুইজন মোটরসাইকেলযোগে আদমদীঘি উপজেলায় পালিয়ে যায়।
ধাওয়া করা জনতা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইকারিদের বিষয়টি জানিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই শত শত লোকজন বেড়িয়ে এসে আদমদীঘির আমইল গ্রামের সাইদুলের দোকানের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাইকারী রাজু পালোয়ান ও কলমকে আটক করে গণধোলাই দেন।
একপর্যায়ে সেই বিক্ষুদ্ধ জনতা ছিনতাইকারি রাজুর পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর আটককৃদের আহত অবস্থায় পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই তিন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আদমদীঘি, আক্কেলপুর ও জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। এ ঘটনাটি আক্কেলপুর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানেই মামলা বা অভিযোগ দায়ের হবে।
আজকালের খবর/ এমকে