প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫৫ PM
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামশারকাজীপুর গ্রামে বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ৭ বছরের সাজা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ বিএনপির আরো ৬৮ নেতাকর্মী। এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ায় সাবেক উপমন্ত্রী দুলুর নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা রইল না।
আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক এএফএম মারুফ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আদালতে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু উপস্থিত না থাকলেও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় দুইটি আপীলকারীর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এতে এক আপীলে ৩০ জন ও অপরটিতে ৩৮ জনসহ মোট ৬৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়। মামলার বাদী ছিলেন, নলডাঙ্গা উপজেলার রামশারকাজীপুর গ্রামের আনিসুর রহমান শাহ’র ছেলে মো. আসাদুজ্জামান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এমন রায়ে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে জানান তিনি। নাটোর কোর্ট ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মোস্তফা কামাল রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর জানান, বিচারক মামলার পর্যবেক্ষনে বলেছেন, দুলুর ভাতিজা যুবদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ গামা হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে সেই হত্যা মামলার আসামী ও তাদের স্বজনরা পরিকল্পিত ভাবে দুলু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে ঘটনার তিন বছর পর কাউন্টার মামলা হিসেবে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, যে ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছিল, সেই ঘটনার সঙ্গে কখনও তিনি এবং তার নেতাকর্মী কেউ জড়িত ছিলেন না। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকেসহ তার নেতাকর্মীদের অযাচিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এতে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলার রায়ের বোঝা বহন করছিলেন। আদালতে যে রায় ঘোষিত তাতে তিনি খুশি। কারণ এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে আর মিথ্যার পরাজয় হয়েছে। এছাড়া তিনিসহ ৬৮ জন নেতাকর্মী খালাসের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে অন্যায় কখনও টেকসই হয় না, দেরীতে হলেও ন্যয় বিচার পাওয়া যায়। এই ন্যয় বিচারের জন্য আদালতসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। মামলার বাদী মো. আসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে এই রায়ের ব্যাপারে তার কোনো মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আজকালের খবর/ওআর