প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৫ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে ১১ জানুয়ারি (শনিবার) বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পদবঞ্চিত ২৪ নেতাকর্মীর এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন বলে জানান তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) আদর্শকে বুকে লালন করে দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাংগঠনিক অভিভাবক জনাব তারেক রহমান এর মিথ্যা মামলাসহ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল নৈরাজ্য ও প্রহসনের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পক্ষে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-মামলা এবং ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েও আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৬ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সম্মানিত সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের যৌথ স্বাক্ষরে ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের ভ্যানগার্ড খ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের (সম্পৃক্ততার স্থিরচিত্র সংযুক্ত) পদায়ন হলেও আমাদের মত জাতীয়তাবাদী আদর্শকে অন্তরে লালন করা ছাত্রদলের কমীর্দের স্থান হয়নি স্থান হয়নি। তাছাড়া নবগঠিত কমিটিতে অনেক বিবাহিত, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী রয়েছে। ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ফ্যাসিস্ট এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছি।
স্মারকলিপি প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (২০১০-১১) শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির মাজুক, আইন ও বিচার বিভাগের (২০১১-১২) মো. ইকবাল হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের (২০১১-১২) ইউনুস আলী, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের (২০১২-১৩) মো. মাহবুবুর রহমান সোহাগ , বাংলা বিভাগের (২০১৩-১৪) মো. শফিকুল ইসলাম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (২০১৪-১৫) সজল আমিন রাব্বি, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (২০১৫-১৬) রুস্তম আলী প্রমুখ।
পদবঞ্চিত ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের মারজুক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, জিএস ও কেন্দ্রীয় যে নেতৃবৃন্দ আছেন, তারা নির্দেশনা দিয়েছিলেন দীর্ঘদিন কমিটি হয়না সেজন্য সবার পরিচয় দেওয়ার জন্য ১ মাসের কমিটি দিবে। তবে আমার প্রশ্ন ১৪ বছর রাজনীতি করার পরেও কেনো নাম আসেনি? এ কমিটিতে কেন ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হলো?
আজকালের খবর/ওআর