শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
টেকনাফে উজাড় হয়ে যাচ্ছে উপকূল ও পরিবেশ রক্ষাকারী ঝাউবন
ফারুকুর রাহমান, টেকনাফ
প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:১৩ PM
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চলে দিন দিন উজাড় হচ্ছে উপকূল ও পরিবেশ রক্ষাকারী ঝাউবন। এমনকি কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাদের বেখেয়ালীর ফলে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। 

সূত্রে জানায়, মেরিন ড্রাইভ ও সাগরের গ্রাস থেকে রক্ষা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় মূলত সেনাবাহিনী এসব ঝাউগাছ রোপণ করছে সৈকতের পাড়ে। তবে কিছু অর্থ লোভী বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী চক্র এসব গাছ কাটছে। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে গাছ কাটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রতি মাসে উপকূলের এসব অঞ্চল গুলো থেকে অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। এতে দিন দিন বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে উপকূল ও পরিবেশ।

এদিকে সরেজমিনে গেলে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত উপকূলীয় অঞ্চল, সাবরাং জিরো পয়েন্ট হতে শাপলাপুর- বাহার ছড়া দীর্ঘ পথের বিভিন্ন জায়গায় সারিবদ্ধ গাছের মাঝে মাঝে ফাঁকা। পড়ে রয়েছে কাটা গাছের অসংখ্য গোড়ালি। কিছু কিছু গোড়ালি বালুর সঙ্গে মিশে গিয়েছে এবং অনেক গাছে রয়েছে করাত ও দা দিয়ে কাটার চিহ্ন।

এসব গাছ কাটার চিহ্ন দেখে স্থানীয়দের কাজ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই ঝাউবাগান ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রতিরক্ষা দেয়াল হিসেবে উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষা করে। আমরা ঝাউবাগানের আশেপাশে চাষাবাদ করি বিদায় মূলত প্রায় সময় দেখতে পাই, গাছ কেটে ফেলার দৃশ্য, আমাদের চোখে পড়লেও তাদের নিষেধ করি। তবে অন্য কোনো সময়ে এসে কেউ না, কেউ ঠিকই গাছ কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয় যারা রয়েছি বন বিভাগকে অবগত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। যতটুকু মনে করি টাকার কারণে, এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছেন। 

এ বিষয়ে টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জের কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমিও শুনেছি কিছু অসাধু চক্র উপকূলীয় অঞ্চলের ঝাউবন নিধন করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ওই অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আমাদের কোনো কর্মকর্তা যদিওবা জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পানি ওভার-ফ্লু হচ্ছে। সৈকতে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ এবং কিছু অসাধু লোকজন সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে লতা পাতা কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে সৈকতের বালিয়াড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

উল্লেখ্য, এই বাগানের আগেও উপকূলীয় বনবিভাগ ৩ হাজার ঝাউবাগানের চারা রোপণ করে বাগান সৃষ্টি করেছিল। কাঠচোরদের দৌরাত্ম্যের কারণে এখন মাত্র কয়েকটি গাছের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব গাছ কাটার ফলে এলাকার পরিবেশের বিপর্যয়ের পাশাপাশি সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে বালু ক্ষয় হচ্ছে। যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঘূর্ণিঝড়, বন্যা হলে প্রধান সড়কসহ স্থানীয় বাসিন্দারা নানামুখী ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

আজকালের খবর/বিএস 








সর্বশেষ সংবাদ
যে খাবার শরীরের ক্ষতি ডেকে আনে
শীত আরও বাড়বে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা পাবেন সম্মানী ভাতা, কে কত?
বই থেকে 'আদিবাসী' গ্রাফিতি বাদ দেওয়ায় টিআইবির উদ্বেগ
পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও কমছে না শীতের দাপট
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
অপহরণ বাণিজ্য বন্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান চান টেকনাফের মানুষ
মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে কথা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়মী লীগের জয়জয়কার
গাজীপুরে শ্রমিক নেতা আব্দুল হামিদের দাফন সম্পন্ন
জাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ-কৌশিকসহ ছয় নেতা বহিষ্কার
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft