প্রকাশ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩০ PM
কুমিল্লায় জামায়াত নেতা ইফতেখার আলম ভুঁইয়া বহিরাগতদের নিয়ে অধ্যক্ষ নাদিমুল হাসান চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা সিটি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে নগরীর কোটবাড়ি গন্ধমতি এলাকায় কুমিল্লা সিটি কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সহ-সভাপতি, রূপসী বাংলা কলেজ সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত আবিদপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া ও তার ভাই অ্যাডভোকেট মো. কাউসার আলম ভূঁইয়াসহ দলীয় কর্মী নিয়ে কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাদিমুল হাসান চৌধুরীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, কুমিল্লা সিটি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে একটি সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কতিপয় কিছু বহিরাগতদের উশৃঙ্খলতার কারণে এর সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তবে অধ্যক্ষ মহোদয়কে যেভাবে তার অফিস কক্ষে ঢুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালাগাল করেছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ নাদিমুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় কলেজে আমার কাজ করছিলাম। হঠাৎ আগের অধ্যক্ষ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ইফতেখার সাহেবসহ কয়েকজন এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং আমাকে মারার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি থানায় অবগত করেছি এবং কলেজ পর্ষদ আইনি প্রক্রিয়া নিবে বলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ইফতেখার আলম ভুঁইয়া বলেন, অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগের। আমি কলেজকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করতে গেছি। এত বছর আওয়ামী লীগ এ কলেজ দখল করে রেখেছিল।
কুমিল্লা সিটি কলেজের পর্ষদের অন্যতম সদস্য ওমর ফারুক রিপন বলেন, প্রিন্সিপাল নাদিমুল হাসান চৌধুরী আওয়ামী লীগ সমর্থিত কেউ না। ওনি শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহন করে না। ওনি ১৮ আগস্ট থেকে ছাত্রদের সমর্থিত একজন শিক্ষক। কোটবাড়ি বিশ্বরোডে ছাত্রদের আন্দোলনের সাথেও প্রত্যক্ষভাবে ছিলেন। যার ফুটেজ মিডিয়াই আছে। ওনার ফেসবুক আইডির প্রোফাইল লাল করার কারণে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিলো।
আজকালের খবর/বিএস