পৃথিবীতে মানুষই সবচেয়ে প্রভাবশালী, বুদ্ধিদীপ্ত ও আবেগপ্রবণ সম্পন্ন জীব। মানুষই একমাত্র হাসতে পারে। যে প্রাণীর বিচার, বিবেক বুদ্ধি, জ্ঞান, মন ও হুঁশ আছে, সে-ই মানুষ। পারিপার্শ্বিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলায় সক্ষম, যার মাধ্যমে সামাজিকভাবে মিলে মিশে একটা জনগোষ্ঠী গঠন করে। মানুষের মাঝে দু’টো ভাগ, একজন নর আরেকজন নারী। সৃষ্টির ধারাবাহিকতা রক্ষায় স্রষ্টা সকল প্রাণীকূলকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তার উপাসনা করার জন্য।
প্রথম মানুষ বা মানব যাকে আদিমানব বলা হয়, তিনি হলেন আদি পিতা হযরত আদম (আ.)। আল্লাহ পাক আগুন, পানি, মাটি ও হাওয়া দিয়ে বাবা আদমকে সৃষ্টি করে রুহ ফুঁকে দিয়ে জীবন দান করেন। তবে আদিমাতা বিবি হাওয়া’র ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। বেহেশতে থেকেও আদমের ভালো লাগে না। কোনো কিছুতেই মন বসে না তার। সারাক্ষণ উদাসী হয়ে থাকেন আদম। আল্লাহ পাক বুঝতে পারেন, আদমের একজন সঙ্গী প্রয়োজন। অনেক চিন্তা ভাবনার পর আদমের সঙ্গী বানানোর জন্য আল্লাহ পাক আদমকে তন্দ্রা চাপিয়ে দিলে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তারপর ঘুমন্ত আদমের বুকের বাঁম পাঁজর হতে হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন এবং আত্মা দিলেন। বাবা আদম ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পান রক্ত মাংসে তৈরী অনিন্দ্য সুন্দরী এক মানবী তার সামনে দাঁড়িয়ে। তাকে দেখে আদমের মনে সৃষ্টি হয় ভালোলাগা, ভালোবাসা ও প্রেম। আদম প্রশ্ন করলেন— তুমি কে?
‘আমি? আমি একজন নারী। আপনার শান্তির কারণরুপে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’
জবাব যেন মিষ্টি আবেশীয়, দূর কোনো দ্বীপ থেকে ভেসে আসা অমিয় বাণী কর্ণকুহরে মধু ঢেলে দিল আদমের। আদমের মনের শূন্যতা, অশান্তি দূর হয়ে গেল। একাকীত্ব লাঘব হলো। তারা দুজন বেহেশতে মনের আনন্দে বসবাস করতে লাগলেন। ফেরেশতারা আল্লাহর নূর থেকে, জ্বিন জাতি আগুন থেকে, আদম আগুন, পানি, মাটি ও বাতাস থেকে আর হাওয়াকে আদমের বুকের বাঁম পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। উভয়েই বেহেশতে নিশ্চিন্তে অবস্থান করবেন, সকল ফলফলাদি ভক্ষণ করবেন, কেবল গন্ধম বৃক্ষের গন্ধম ফল খাওয়া নিষেধ করা ছিল। শয়তানের প্ররোচনায় প্রথমে বিবি হাওয়া ও পরে বাবা আদম, দু'জনেই গন্ধম ফল খেয়ে ফেলেন। এটিই ছিল তাদের আদিপাপ। ফল খাওয়ার পর দু’জনই বুঝতে পারলেন উভয়েই নগ্ন। তখন তারা গাছের পাতা দিয়ে নিজেদের শরীর ঢাকলেন। বাবা আদম ও বিবি হাওয়া বেহেশত থেকে বিতাড়িত হলেন। বাবা আদমকে সিংহলের আদম পাহাড়ে এবং বিবি হাওয়াকে সৌদি আরবের জেদ্দার হেজাজে পাঠানো হলো। দীর্ঘদিন পর মক্কার আরাফাত ময়দানে আদম হাওয়ার মিলন হয়। আল্লাহ পাক বলেনÑ ফলবান হও, বংশবৃদ্ধি করো, তোমরা পৃথিবীকে ভরিয়ে তোল, তাকে বশীভূত করো, পৃথিবীর বুকে চলাফেরা করে যতো প্রাণী আছে, তাদের সকলের উপর তোমরা প্রভূত্ব করো।
স্রষ্টা তার নিজ আদলে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এইজন্য পীর মোর্শেদরা বলেন— আদম আল্লাহ জাত।
পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই স্রষ্টা বিরাজমান রয়েছেন। একটি কথা মনে রাখতে হবে, পুরুষ ও নারীতে ভিন্নতা আছে কিন্তু বিচ্ছিন্নতা নেই। নারী নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রত্যেক পুরুষের জীবনে তিন ধরনের নারীর বিচরণ ঘটে, যাদের প্রভাবে চলে পুরুষের জীবন। তারা হলেনÑ জন্মদায়িনী মা, জন্ম জন্মান্তরের সঙ্গিনী স্ত্রী ও সব বাবাদের চোখে রাজকন্যাসম তার আদরের কন্যা। আর নারীর জীবনে আসে তার অনুকরণীয় ব্যক্তি, যাকে তার জীবনের আইকন বা হিরো ভাবে তিনি হলেন বাবা, তারপর জীবন সঙ্গী স্বামী ও তার আত্মজ বা পুত্র।
হিন্দুশাস্ত্রমতে চুরাশি লক্ষ যোনি ঘুরে মানব জনম লাভ হয়। শত সাধনার পর মেলে সাধের মানব জনম। পাহাড়, পাথর, বৃক্ষকূলে বিশ লাখ বার, কৃমিকূলে দশ লক্ষ বার, জলচর বা জলজীবে নয় লক্ষ বার, পক্ষী কূলে দশ লক্ষবার, পশুকূলে ত্রিশ লক্ষ বার, এই মোট আশি লক্ষ বার জন্ম মৃত্যুর পর মনুষ্য দেহ লাভ হয় চার লক্ষ বছরের জন্য। স্রষ্টার সাধন, ভজন অর্থাৎ উপাসনা করার জন্যই মানবজনম দেওয়া হয়েছে।
গ্রীক পুরাণমতে দেবতা প্রমিথিউস মানুষ সৃষ্টি করেন। তার ভাই এপ্রিমিথিউস প্রাণীকূল তৈরি করেছিলেন। সৃষ্টিতে প্রথম নারী ছিলেন দেবী ‘প্যান্ডেরা’। এপ্রিমিথিউস দেবী ‘প্যান্ডেরা‘কে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
ইারী : নারী শব্দটি তৎসম শব্দ। যার কখনো পরিবর্তন হয় না। নারী হলেন পূর্ণ বয়স্কা মহিলা। নারী শব্দের অর্থ একজন প্রাপ্ত বয়স্কা মহিলা। ল্যাটিন শব্দ ‘ফেমেলা’ বা ‘ফেমিনা’ থেকে উদ্ভুত যার অর্থ ‘নারী’। ফিমেল শব্দে ঋব-এর কোনো উপসর্গ নেই। স্বতন্ত্রভাবে ফিমেল তার নিজের উপর দাঁড়ানো। নারীকে তার সঙ্গী পুরুষের বুকের বাঁম পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। গন্ধম ফল খাওয়ার পর স্রষ্টা নারীকে তার স্বামীর শাসনের অধীনে বাস করার অভিশাপ দেন। মানুষ শব্দের ভিতর মহিলা ও পুরুষ দুজনেই আছে। উইফম্যান শব্দ থেকে ওম্যান এসেছে। ‘মহিলা’ শব্দটির একটা সম্ভ্রান্ত রূপ আছে। ভারত্ব আছে, যা ‘নারী’ শব্দে নেই। পুরুষের চেয়ে তুলনামূলক নারীরা বেশি পরিপক্ক। যৌবনকালে পৌঁছার পূর্বে একজন নারীকে ‘মেয়ে’ বলে ভাবা হয়।
নারীত্ব : মেয়েলিপনা, বালিকাসুলভ, নারীসুলভ অর্থাৎ নারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট আচরণ, চরিত্র ইত্যাদি গুণাবলিই হলো নারীর নারীত্ব। ভদ্রতা, সহানুভূতি, নম্রতা এবং সংবেদনশীলতা হলো একজন নারীর বৈশিষ্ট্য। নারীত্ব বলতে শৈশব, বয়ঃসন্ধি ও কৈশোর পার হওয়ার পর একজন নারীর পরবর্তী জীবন কালকে বুঝায়। মানে নারীত্ব বা ফেমিনিটি বলতে যে নারী মাসিক অতিক্রম করেছে এবং সন্তান দানে সক্ষম।
মা : মা-যা ইংরেজিতে মাদার। এম হলো ম্যাগনিফিসেন্ট বা মহিমাময় বা মহান, ও হলো আউটস্ট্যান্ডিং বা অসামান্য, টি হলো টেন্ডার মানে চুক্তি, এইচ হলো অনারেবল মানে সম্মানিত, ই হলো এক্সট্রাঅর্ডিনারি বা অসাধারণ, আর মানে রিমার্কেবল মানে অসাধারণ বা মন্তব্য আনার মতো। মা নিজেই একটি পৃথিবী। মা এক মন্দির। মা চোখের সামনে থাকা ঈশ্বর। বিপদে আপদে, অসুস্থতায়, বেদনায় মুখ নিসৃত প্রথম কথাই হলো মা। মা--তে মসজিদ, মা হলেন সে-ই নারী, যিনি গর্ভধারণ, দশ মাস দশদিন শতো কষ্ট সহ্য করে তারপর সন্তানের জন্ম দেন। অকৃত্রিম সেবা দিয়ে বড় করে তুলেন, বুকে আগলে রেখে। এটিকে প্রকৃতিগত বলে খাটো করা যায় না। স্রষ্টা সর্বত্র থাকতে পারেন না, এ কারণে তিনি দুনিয়াতে সবার জন্য মা পাঠিয়েছেন। দুঃসময়ে কাজের অনুপ্রেরণা, বিপদ থেকে রক্ষা, পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করলেও বাবার বকুনি, শাসনের হাত থেকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে লুকিয়ে রেখে নিজে সব যন্ত্রণা সহ্য করেন, লাঞ্চিত হন-তিনিই মা। সন্তানের অসুস্থতায় শিয়রের পাশে সারা রাত জেগে কপালে জলপট্টি দেবার মানুষটিই হলেন মা। মা হলেন সন্তানের সব দোষ ঢেকে রেখে ক্ষমা করে দেয়ার পৃথিবীতে একমাত্র নারী। কোনো সন্তানের চোখেই তার মা কুৎসিত হয় না। সব সন্তানই তার মায়ের চোখে রাজপুত্র কিংবা রাজকন্যা। সন্তানের রুচিতে তার মা-ই সেরা রাঁধুনি। যার কথা মনে পড়লে চোখের দু’কোণ চিক চিক করে একটা অসহায়ত্ব ঝেঁকে বসে, তিনিই মা।
স্ত্রী : প্রোটো জার্মান শব্দ উইব্যাম থেকে এসেছে, যার অর্থ নারী। ডাব্লিউআইএফ থেকে ওয়াইফ হয়েছে। স্ত্রী মানে যে মহিলা বিবাহিত। অর্থাৎ স্ত্রী একজন নারী যিনি পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। স্ত্রী হলো ‘রাব্বাইতুল বাইত’ মানে ‘বাড়ির রানি’। আল্লাহ পাক তার সৃষ্টিকে চলমান রাখার জন্য একজন পুরুষ ও একজন নারীতে বৈধ সম্পর্ক স্থাপনের যে মাধ্যম দিয়েছেন, তা হলো বিবাহ। স্ত্রীর আরবী শব্দ হলো ‘যাওজাহ’ বা ‘সায়্যিদাহ’। ধারাবাহিক বৈবাহিক সম্পর্কের নারী অংশীদারই হলো স্ত্রী। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা হলে একজন নারী স্ত্রী হয়। প্রচলিত আইনে একজন নারী বিয়ের পরই একজন স্ত্রী হন। নাহলে তারা থাকেন বান্ধবী, সহবাসী, উপপত্নী হয়ে। আংটি, নাকফুল বিয়ের পর পড়েন মহিলারা। আংটি হলো কোন ব্যক্তির প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রেখে আগামী দিনের পথচলার অঙ্গীকার। বিয়ের পর নাকে নাকফুল পড়ে বুঝানো হয় তিনি বিবাহিতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা কপালের সিঁথিতে সিঁদুর, চুড়ির সাথে শাঁকা, পায়ের আঙুলে আংটি ধারণ করেন। স্ত্রীরা তাদের স্বামীর সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, দেখাশোনা, বিশ্বস্তভাবে থেকে পরবর্তী বংশধর আনেন পরিবারে, এই জন্য স্ত্রী কে বলা হয়, ‘কূলের বউ’ বা বংশের বউ। তার মাধ্যমে বংশের পরবর্তী বংশধর পৃথিবীর মুখ দেখে। ওই নারী তখন নিজের বাবা মায়ের বংশের থাকে না, স্বামীর বংশের হয়ে যায়। পুরুষরা সারাদিন বাইরের কাজ কর্ম শেষে সন্ধ্যায় যখন ঘরে ফিরে তখন একজন মানুষের সাহচর্য আশা করে। কাঁকন পড়া একটা হাতের ছোঁয়া চায় সে।
কন্যা : পিতা মাতার ঔরসে জন্মগ্রহণকারী বালিকাই হলো ‘কন্যা’। যার সমকক্ষ হলো পুত্র। কন্যা হলো একটি অল্পবয়সী মহিলা, একটি মেয়ে শিশু পিতা মাতার সাথে সম্পর্কযুক্ত। ইংরেজিতে ডটার প্রাচীন বা পুরণো ইংরেজি ‘ডোহটার’, আবার ইন্দো ইউরোপীয় ভাষায় দুয়েতার যা সংস্কৃত ভাষায় পরিবর্তীত হয়ে দুহিতা হয়েছে। পৃথিবীর সব কন্যারাই তাদের বাবার চোখে ‘রাজকন্যা’। বাবার প্রতি মেয়েরও একটা টান কাজ করে। বাবাকে ওরা অনুকরণীয় ভাবে। মেয়ের হাজারো বায়না বিনাবাক্য ব্যয়ে শোধ করার মানুষটিই হলেন ‘বাবা’। মেয়েদের সব আবদার প্রশ্রয় বাবারাই। বাবারা তাদের মেয়ের মাঝে, তার গঠন, কথা, চালচলনে নিজের মায়ের সাথে মিল খুঁজে পান। বাবা তার মাকে খোঁজে পান নিজের মেয়ের মাঝে।
মা, কন্যা ও জননী : মাতো চিরন্তন মা। তার কোনো বিকল্প হয় না। সমস্ত সৌরজগত, ব্ল্যাকহোল, গ্যালাক্সি, গ্রহ থেকে গ্রহান্তর তন্ন তন্ন করে পাওয়া যাবে না, যদি মা একবার হারিয়ে যায়। সন্তানের কিছু হলে মায়ের কাছে অদৃশ্যভাবে খবর হয়ে যায়। সন্তানের সাথে মায়ের থাকে নাড়ির টান।
স্ত্রী : বিবাহের মাধ্যমে পুরুষের ঘরে স্ত্রী রূপে প্রবেশ করে নারী। বিবাহ একটি আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। বিয়ের পর ভাবতে হবে, সংসারে তারা দু’জন মাত্র নন, সাথে আছেন স্রষ্টা বা ঈশ্বর। স্বামী স্ত্রী’র সম্পর্ক স্বর্গীয়। এই সম্পর্ক জন্ম থেকে জন্মান্তরের সম্পর্ক হয়। যারা চরিত্রবান, অন্যকে ঠকায় না, সন্দেহ কওে না, বিবাদে জড়ায় না, একে অপরকে ভালোবাসে, সম্মান করে, তাদেরকেই পুনর্মিলন দেন সৃষ্টিকর্তা। একে অপরকে ঠকালে জন্মান্তরের সম্পর্কটা হয় না আর। ভালোবাসা, প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাস, মনোযোগ, যোগাযোগ, সম্মান, সাত জনমের সম্পর্কে বেঁধে দেয়। অতীতে যে মানুষটি সঙ্গী হিসেবে ছিল, স্বীয় কর্মফলের ভিত্তিতে ছিটকে যায়। না পেলেও হারিয়ে যাওয়া সঙ্গীটির জন্য একটি অনুভূতি কাজ করে। শরীর ছাড়া আত্মা আশ্রয়হীন, এবং আত্মা ছাড়া দেহ প্রাণহীন। এই দুটো একসাথে মিলনে জীবনের জয়যাত্রা। ছেলেদের জীবনে মায়ের পরেই স্ত্রীর স্থান। ভাল মন্দ, সুখ দুঃখ, বিপদে আপদে মা যেভাবে আগলে রাখেন তার সন্তানকে, স্ত্রীরও তার স্বামীকে সেভাবে নিরাপত্তা দিয়ে আগলে রাখার কথা। কেউ রাখে কেউ হয়তো রাখে না। স্ত্রীকে সৃষ্টি করা হয়েছে তার স্বামীর বুকের বাম পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে। তাই নারীরা সর্বদা বাঁকাই থেকে যায়। সোজা করা বৃথা। এখানে সম্পর্ক একটা দেহগত আরেকটা মনের। মায়ের সাথে সম্পর্কটা রক্তে, আবেগে, আবেশে, ডিএনএ গত। আর অন্যটা খবরদারী, শাসন, মেনে না নেওয়া, অধিকারে চুল পরিমাণও ছাড় দিয়ে নয়। সবাই ব্যালেন্স করতে জানেনা। যারা পারে, তারাই হয়তো ভালো থাকে। তবে যতই বুলি আওড়াই না কেন সংসারে শান্তি, বেঁচে থাকা, মায়ের অবর্তমানে স্ত্রীই পুরুষের শেষ বাতিঘর। কান টানলে যেমন মাথা চলে আসে তেমনি নিজের সন্তানকে ভালোবাসলে তার মা-কে বাদ দেওয়া যায় না।
কন্যা : কন্যা হলো তার বাবার নিজ মায়ের প্রতিরূপ। কন্যা আছে বলেই বাবারা মনের সুখ নিয়ে বেঁচে থাকে। বাবারা কন্যার শাসন অনুভব করে ভিতর থেকে, মন থেকে, মেনে নেয়, সাপোর্ট করে, মায়ের প্রতিরূপ ভেবে। আর এভাবেই সম্পর্ক এগিয়ে যায় কন্যা, জায়া ও জননীর। বেঁচে থাকে মানুষ, বেঁচে থাকে পৃথিবী।
আজকালের খবর/আরইউ