প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০২ PM
ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কে গৌরীপুর উপজেলার বেলতলী এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে লাল নিশান (বিপদজ্জনক সংকেত দেখিয়ে) উড়িয়ে চাঁদাবাজিকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় আজ শুক্রবার মামলা হয়েছে।
মামলা দায়ের করেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জঙ্গলবাড়ি এলাকার মো. আব্দুল কদ্দুছের পুত্র আবুল কাসেম। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কে বালুরগাড়ি, চিনির ট্রাক, পাথর বোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে শ্যামগঞ্জ থেকে শম্ভুগঞ্জ এলাকার মধ্যবর্তী বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় রাস্তায় বেড়িকেট দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি চক্র।
দুর্গাপুরের ট্রাক চালক সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তায় লাল নিশান উড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, বিপদসংকেত বুঝে দাঁড়ালেও ওরা চাঁদা দাবি করে। না দিলে চালক আর হেলপাড়দের নামিয়ে মারধরও করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ সড়কের বেলতলী বাজারের পশ্চিমে অটোরাইস মেইলের সামনে গত বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে কয়লা বোঝাই ট্রাকের চালক মো. রফিকুল ইসলামের নিকট ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার খরব পেয়ে কয়লা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও গৌরীপুর সেনা ক্যাম্পকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেলতলী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. আব্দুল জলিল, মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র মো. মিজানুর রহমান, মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. ফজলুর রহমান। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বেলতলী গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান সাজল (বুলেট), মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র কামরুল মিয়া, আজিজুর রহমানের পুত্র পিয়াস উদ্দিন, রহিমের পুত্র নাঈম মিয়া, মোতালেবের পুত্র হৃদয় মিয়া ও কাদের, রাকিব মিয়া, আকাশ মিয়া।
আজকালের খবর/ওআর