প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১৬ PM
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একাদশ-দ্বাদশ ও আলিমের বাংলা বিষয়ের ‘সাহিত্য পাঠ’ বইয়ে লেখক পরিচিতিতে দেখানো হয়েছে মৃত্যুর ২২ বছর পর জন্ম নিয়েছেন প্রমথ চৌধুরী।
জানা গেছে, পাঠ্যবইটির ৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে লেখক পরিচিতিতে উল্লেখ করা হয়েছে প্রমথ চৌধুরী ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মৃত্যু হয় ১৯৪৬ সালে। যার অর্থ দাঁড়ায়, মৃত্যুর ২২ বছর পর জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রমথ চৌধুরীর ১৮৬৮ সালের ৭ অগাস্ট যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে তার পৈতৃক নিবাস ছিল। বাবা কর্মসূত্রে তিনি যশোরে বসবাস করতেন। ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
অগাস্টে সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৮ নভেম্বর থেকে এ বইটি সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বাজারজাত শুরু হয়। বইটি পরিমার্জন তদারকি করেছিল এনসিটিবি।
আরও জানা গেছে, বইটি পরিমার্জনের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সহকারী অধ্যাপক মো. রাফাত আলম মিশুসহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের একটি দল।
বিশেষজ্ঞদের একজন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) আহ্বায়ক ও লেখক রাখাল রাহা ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বইগুলো পরিমার্জনের সময় আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বইগুলোর ফাইল আউটলাইন করা ছিল। তাই সেগুলো কার্যত ছবি ফরমেটে ছিল। নানা ঝুঁকি নিয়ে সেগুলো পরিমার্জন করতে হয়েছে। তাই এ ভুলটি আসলে কম্পিউটার ডেস্কে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে নাকি পরিমার্জনের সময় তথ্যগতভাবে হয়েছে তা বলা মুশকিল।’
এদিকে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, ‘পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর জন্ম ও মৃত্যুর বছর নিয়ে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা অনাকাঙ্খিত। এ ভুলের বিষয়টি আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেব।’
আজকালের খবর/ওআর