প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:১৭ PM আপডেট: ০২.০১.২০২৫ ৫:২০ PM
নতুন বছরের শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলায় গত ১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও, নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন থেকেই শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষজনের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা মানিক নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে খুব ঠান্ডা পড়ছে। ভোরে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। এমন হলে কাজ করা সম্ভব নয়।’
আরেক শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘একদিন কাজে না এলে বাড়ির চুলায় আগুন জ্বলবে না। বাধ্য হয়েই এই তীব্র শীতের ভোরে কাজে আসতে হচ্ছে।’
স্থানীয়রা জানান, ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে সকাল থেকে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ জেলার ওপর দিয়ে দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪-৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেঘের উপস্থিতি থাকতে পারে। সেজন্য তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলায় এবং সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আজকালের খবর/ওআর