প্রকাশ: সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৪:০২ PM
করোনা মহামারি ও রমজান মাসকে সামনে রেখে অপর দিকে করোনাকালে দুগ্ধ খামারি ও পোল্টি শিল্পের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, এবং জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সরকার ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমান দোকানের মাধ্যমে প্রাণিজাত পণ্য বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এ বিশেষ প্রকল্প। ইতোমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করেছে ফরিদপুরের জনগণ। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমানভাবে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে বাসা-বাড়িতে গিয়েও এসব পন্য পৌছে দিচ্ছে তারা। এখানে প্রতি কেজি গরুর দুধ ৬০ টাকা, প্রতি হালি মুরগির ডিম ২৬ টাকা, সোনালী মুরগির প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫শ’ টাকা এবং খাসির মাংস ৭শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে বাড়িতে বসে ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে খুশি জনসাধারণ।
সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একদিকে করোনা মহামারি অপর দিকে পবিত্র মাহে রমজান এই সময়ে প্রাণি সম্পদ বিভাগ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাতে আমরা খুশি। আমরা ঘরে বসে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে প্রয়োজন মতো দুধ, ডিম ও মাংস পাচ্ছি ন্যায্যমূল্যে। আমি চাই এই সার্ভিস সবসময় চালু রাখার জন্য। এই সাভিস চালু থাকলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
ফরিদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লাহ মো. আহসান জানান, গত মঙ্গলবার হতে জেলায় এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন ফরিদপুর জেলা শাখার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে দশজন খামারিদের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের মাধ্যমে এ সেবা জনগণের কাছে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, প্রতিদিনই এই কর্মসূচীর মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মীর কাশেম বলেন, ১২এপ্রিল থেকে ফরিদপুরে এ সেবা চালু হয়েছে। ফরিদপুরের মানুষ ঘরে বসে স্বল্পমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস কিনতে পারছে।
একে