চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের সাবেক এক কর্মকর্তা ও দেশটির রাজকীয় একটি বাহিনীর ওপর আর্থিক নিষেথাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটির ৭৬ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ওই হত্যায় সৌদি যুবরাজ অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরপরই এ পদক্ষেপ নিল।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক খুনে দায়ী করা হলেও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাংবাদিক জামাল খাসোগির নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘খাসোগি আইন’। যেসব বিদেশি ভিন্নমতাবলম্বীদের হুমকি দেবে বা সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারকে হয়রানি করবে; এই আইনের অধীন তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এই আইনে ৭৬ সৌদি নাগরিককে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ব্লিংকিন বলেন, আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি যে বাইরের দেশে বসবাস করা ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের হুমকি ও হামলা সৌদি আরবকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র তা সহ্য করবে না।
এদিকে খাসোগি হত্যায় অনুমোদন দেওয়ায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে শুক্রবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে বেশ কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তাতে সৌদির প্রভাবশালী যুবরাজকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি গুপ্তচরেরা।