প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:২০ PM
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইনানী পাথুরে সি বিচ পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলা নিকেতন ইনানী পাথুরে সি-বিচ। দীর্ঘ নয় মাস করোনাকালীন সময় অতিক্রমের পর পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
হোটেল মোটেল, কীটকট, শামুক, ঝিনুক, আচার, প্রসাধনী, ডাব ও অন্যান্য পণ্য সাজিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তারা মহাখুশি। কারণ করোনার ফলে ব্যাপক লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু হওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে ভাসমান ব্যবসায়ীরা দেশি-বিদেশি পর্যটকের অপেক্ষায় রকমারি পণ্য সাজিয়ে বরণের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। পর্যটকদের কেনাকাটার ওপর নির্ভর করে অন্তত শত শত ক্ষুদ ব্যবসায়ীদের পরিবারের সংসার চলে ইনানী সি-বিচকে কেন্দ্র করে।
ঝিনুক-শামুক ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন মিটু জানিয়েছেন, দুর্ভোগ কাটিয়ে উঠে তারা স্বাভাবিক ব্যবসায় ফিরেছে। সার্বক্ষণিক বিচ পুলিশের নজরদারিতে ব্যবসায়ী পর্যটক সকলে সকাল-সন্ধ্যা নিরাপত্তার চাদরে ডাকা থাকে। তাই ইনানী সি-বিচের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে পাথুরে বিচের ওপর সাগরের জলরাশি মহামিতালী সত্যিই পর্যটকদের খুব বেশি আকর্ষণ করে।
ঢাকা মহাখালীর সারমিন ইয়াসমিন নামের এক তরুণী পর্যটক জানিয়েছেন, ইনানী সি-বিচে তিনি প্রথম এসেছেন। তিনি বলেন, বইয়ের পাতায় যা পড়েছি সত্যিই ইনানী পাথুরে বিচ তার চাইতে অধিক সুন্দর।
আজকালের খবর/এএইস