মুক্ত চিন্তার দৈনিক আজকালের খবর, তারুণ্যে সাতাশ। সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি সেই সাথে বিশ্বকে উপস্থাপনায় ভূমিকা রেখে আসছে। আমার পাঠ থেকে, আমার দেখা এবং জানা থেকে এ মতামত একান্ত আমার। আজকালের খবর প্রতিদিন সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি নতুনদের জায়গা করে দিতে পেরেছে। বিশেষ করে মতামত কলামের মাধ্যমে কলাম লেখকদের উৎসাহ প্রদানে এই প্রচার মাধ্যমটির ভূমিকা অনেক। অনেক নতুন কলাম লেখক যারা প্রাথমিক পর্যায়ে লিখছেন বা লিখতে শুরু করেছেন তাদের মতামতের ওপর গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে তাদের লেখা প্রকাশ নতুন লিখিয়েদের অনুপ্রেরণার উৎস।
একটি পত্রিকা পাঠকের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে সম্পাদকের ভূমিকা অনেক। পাঠক কী চান বা একজন পাঠক প্রতিদিন পত্রিকা পাঠের জন্য কোন পত্রিকা কেন বেছে নেবেন তা নির্ভর করে পত্রিকাটি পাঠকের কতটুকু চাহিদা মেটাতে পারে তার ওপর। আজকালের খবরে প্রকাশিত খবর প্রচারের ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলকে প্রাধান্য দিতে হবে। গ্রামীণ খবরাখবর বেশি বেশি প্রাধান্য পেলে গ্রামীণ পাঠক তৈরি হবে, পত্রিকার প্রসার বাড়বে।
একটি পত্রিকা পাঠকের চাহিদা মেটাতে দিন ভাগ করে বিভিন্ন বিভাগ চালু করতে পারে। সপ্তাহে শুধুমাত্র একদিন সাহিত্য বিভাগ লেখকদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এটা সকলেই জানেন যে বাংলাদেশে এখন লেখকের সংখ্যা কম নয়। দিন ভাগ করে সাহিত্য বিভাগের পাশাপাশি শিশুদের জন্য, তরুণদের জন্য বিভাগ চালু করা যেতে পারে। ছড়াকারদের জন্য প্রতিদিন ‘আজকালের ছড়া’ থাকলে অন্তত ছড়াকারগণের সাথে পত্রিকার সংযোগ বাড়বে। সেই সাথে পত্রিকাটি দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করতে ভূমিকা পালনের দাবিদার হতে পারে।
একটি পত্রিকা একটি জাতির আয়না। জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে এবং জাতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি আজকালের খবর এভাবেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে যাবে, সংবাদকর্মী তৈরি করবে প্রত্যাশা সকলের।