শিরোনাম: |
বোরো রোপণে ব্যস্ত নোয়াখালীর কৃষকরা
মুলতানুর রহমান মান্না, নোয়াখালী
|
![]() জানা গেছে, জেলার কৃষকরা কাক ডাকা ভোরে পৌষের তীব্র শীত উপেক্ষা করে ধান চাষে মাঠে নামছে। দুপুরে একটু বিরতী নিয়ে আবার কাজ শুরু করেন। আর সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাদের এ ব্যস্ততা। তবে শ্রমিকের সংকট হওয়ায় যারা কাজ করছে তাদের মজুরি বেশি দিতে হচ্ছে। ডিসেম্বরে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঘনকুয়াশা থাকায় ধানের চারা রোপণের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো পলন পাওয়ার আশাবাদী জেলার কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরে জেলার সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর, হাতিয়া, চাটখিল, সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলা বোরোর চাষ করা হচ্ছে। যার মধ্যে হাইব্রিড ধান ৫০ হাজার হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন। উফশী ধান চাষ হবে ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ৬১০ মেট্রিকটন। এদিকে, ৬৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে জেলায় ৮৬ জন বিসিআইসি সার ডিলার ও ৬১ জন বিএডিসি সার ডিলারের মাধ্যমে জানুয়ারি মাসে তিন হাজার ৩০৩ মেটিকটন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলার কবিরহাট উপজেলার উত্তর নরোত্তমপুর গ্রামের কৃষক নূর নবী, বেগমগঞ্জ উপজেলার গয়েছপুর গ্রামের ফারুক হোসেন’সহ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, বর্তমান সময় বোরো চাষের ভরা মৌসুম। ফজরের নামাজ শেষ করে সেই ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ধান চাষ ও জমি তৈরির কাজে তারা জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সার, জ্বালানি তেল ও শ্রমিকদের মজুরি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার জন্য ধান উৎপাদনে খরচ প্রতি বছরই বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আইয়ুব মাহমুদ জানান, জেলায় বীজতলা হিসেবে বোরো চাষে আমাদের যে লক্ষমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে যাবে। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১৭ হাজার পাঁচশ হেক্টর জমিতে ধান চাষ সম্পন্ন হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী জেলায় সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ থাকায় সারের সংকট হবে না। আজকালের খবর/এএইস |