প্রকাশ: শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:২৮ PM
সচিবালয়ের পেশার তাগিদেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন দপ্তরের সেবা নিতে হয়। তাই সচিবালয়ের প্রবেশের জন্য দরকার হয় ‘পিআইডি কার্ড'। এই কার্ডটি ইস্যু করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনের প্রতিষ্ঠান তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)।
এত দিন এই কার্ড পেতে সাংবাদিকদের অশেষ ভোগান্তি পোহাতে হতো। বছর দেড়েক হলো অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সাংবাদিকদের সেই ভোগান্তির অবসান হয়েছে।
পিআইডি অফিসে কার্ডের জন্য আবেদন করলে আগে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘুরতে হতো। লেগে না থাকলে আবেদনের কপিই খুঁজে পাওয়া যেত না। সেখানে এখন যোগ্যরা আবেদন করার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই কার্ড পেয়ে যাচ্ছেন।
একইভাবে ই-মেইলে যোগাযোগ করেই কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়ে খুশি পেশাদার সাংবাদিকরা।
পিআইডিতে সেবার চিত্র বদলের কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে প্রতিষ্ঠানটির পুরো টিমের। তবে দুই কর্মকর্তার আন্তরিকতা ও পরিশ্রম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন বর্তমানে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার। অন্যজন হলেন সিনিয়র তথ্য অফিসার আশরোফা ইমদাদ। তিনি পিআইডির সেবার মান বাড়াতে জুনিয়র অফিসারদের মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সুরথ কুমার সরকার বলেন, ‘সাংবাদিকরা তাঁদের কার্ডটা দ্রুত পেয়ে যাবেন, এটাই তো নিয়ম হওয়ার কথা। আগে কী হতো জানি না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পেশাদার সাংবাদিকদের কার্ডসংক্রান্ত বিষয়সহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করছি। কতটুকু পারছি সেবা গ্রহণকারীরা ভালো বলতে পারবেন।’
সিনিয়র তথ্য অফিসার আশরোফা ইমদাদ বলেন, ‘প্রথমদিকে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। অপেশাদারদের কার্ড দেওয়া বন্ধ করায় প্রথম দিকে অনেকে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী-সচিব পর্যন্ত অভিযোগও জমা পড়েছে। তবে আমরা সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেবার মান বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা কাজের একটা ধারা তৈরি করতে পেরেছি। এখন ঝামেলা অনেকটা কমে গেছে। মুজিববর্ষে সেবার মান বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল। কতটুকু পেরেছি সাংবাদিকরা ভালো বলতে পারবেন।’
আজকালের খবর/এএইস