ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এটা আমাদের প্রত্যাশা যে, স্বচ্ছতার মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া চলবে। ব্যক্তির আইনি অধিকার সুরক্ষিত করে সেখানে যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।’
আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ইসকন সম্পর্কে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সামাজিক সেবামূলক কাজ করে ইসকন সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারত ধারাবাহিকভাবে এবং দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে আসছে। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই ঘটনাগুলোকে শুধু গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন হিসেবে খারিজ করার সুযোগ নেই। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়। এই মামলায় গত সোমবার বিকেলে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন চট্টগ্রামের একটি আদালতে চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি ঘিরে আদালত চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হন।
একই দিন চিন্ময়ের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানায় ভারত। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেদিন বলে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও তার জামিন নাকচ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আজকালের খবর/ওআর