প্রকাশ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:১২ PM আপডেট: ৩০.১০.২০২৪ ৭:১৯ PM
নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিউলী বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী শাহজামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা ভিকটিমের বাবা-মাকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল ২৫ বছর।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজামাল উপজেলার দুর্গাপুর বাবলাতলা গ্রামের মো. তছলিম উদ্দিনের ছেলে। আর নিহত শিউলী বেগম একই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাদের মিঞা এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১০ সালে জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর বাবলাতলা গ্রামের দরিদ্র মৎস্যজীবী মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে শিউলী বেগমকে প্রেম করে বিয়ে করেন একই গ্রামের প্রতিবেশী তসলিম উদ্দিনের ছেলে শাহজামাল। বিয়ের সময় স্বামীর দাবীকৃত যৌতুকের ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা প্রদানও করেন। বাকি পাঁচ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এরইমধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি শাহজামাল যৌতুকের বকেয়া পাঁচ হাজার টাকার জন্য স্ত্রী শিউলি বেগমকেকে পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে জামাই শাহজামাল, শ্বশুর তসলিম উদ্দিন ও শাশুড়ি সামনুর বেগমকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামালা দায়ের করেন।
মামলাটি থানার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে শুধু শাহজামালকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩০ মে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক এই রায় দেন।
আজকালের খবর/ওআর