প্রকাশ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৪৬ PM আপডেট: ৩০.১০.২০২৪ ৬:৪৯ PM
নরসিংদীর রায়পুরায় পূর্ববিরোধের জের ধরে রাবেয়া খাতুন (৫৩) নামে এক নারীকে হত্যা ও হত্যাপরবর্তী ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী।
আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী পিবিআই কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান, পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান। এর আগে, ২৫ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রায়পুরার আদিয়াবাদ পিপিনগরের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন, একই উপজেলার বাহেরচর পশ্চিম পাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে জীবন ও আব্দুর রহিমের ছেলে স্বপন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সকালে নিজ ঘরের মেঝে থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো ও উলঙ্গ অবস্থায় রাবেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই ঘরের পশ্চিম পাশে দুটি সিঁধ কাটা ছিল। ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আমির হামজা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। এরপর ক্লুলেস এই মামলাটির দীর্ঘ তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি বছর ৩১ মার্চ মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশক্রমে পিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়। মামলাটি পিবিআইতে আসার পর তদন্তের এক পর্যায়ে চলতি মাসের ২৫ তারিখে নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট জীবন নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা ২৬ অক্টোবর নরসিংদী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের দেওয়া তথ্যে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত স্বপন নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ও সিঁধ কাটার শাবল এবং ছেনি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) আরো জানান, গ্রেপ্তাররা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করে যে, পূর্ববিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সুমন, স্বপন, জীবন ও কামাল শাবল এবং ছেনি দিয়ে সিঁধ কেটে কামাল ও সুমন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। পরে তারা দুজন ঘরে ঢুকে দরজা খুলে দিলে স্বপন ও জীবন ঘওে ঢোকে। এরপর, তারা চারজন মিলে ওই নারীকে হত্যা করে এবং হত্যার পর সুমন তাকে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনায় ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিহতের ভ্যাজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে নিহতের শরীরে একজন পুরুষের বীর্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই ঘটনায় কামাল নামে একজন আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান এসপি।
আজকালের খবর/ওআর