প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৫৮ PM

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে অসময়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনের বেলাতেই ক্যাম্পাসজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর আবাসিক হলে পড়ার টেবিলেও বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এদিকে এই মাসে শুরু হয়েছে প্রায় বিভাগের পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের পড়ার চাপ। অতিষ্ট হয়ে অনেকে বেছে নিলেন বিকল্প পদ্ধতি। মশারির ভিতরই ঠাঁই হলো পড়ার টেবিল। শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে দুঃসহ যন্ত্রণার মুখে পড়ছেন। এতে পড়াশোনা ও ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটছে। ডেঙ্গু-সহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে গত ২৪ ঘণ্টার (২৮ অক্টোবর) মধ্যে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে ৩ জন মৃত্যু-সহ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৯৭। অন্যদিকে জুলাই মাসে ১২ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৮০ জন এবং চলতি মাসে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসময়ে এরকম আত্মঘাতী তথ্য শোনার পর শিক্ষার্থীদের মনে আতঙ্ক বেড়েছে দ্বিগুণ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মশা নিধনের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. জুবেল হোসাইন বলেন, আমরা যারা নিচ তলায় (গ্রাউন্ড ফ্লোর) থাকি তাদের মশার সমস্যা বেশি হয়। মাসে অন্তত একবার হলেও স্প্রে মারলে মশার উপদ্রব কমতে পারে। যদিও আমাদের হলের নতুন প্রভোস্ট চারপাশে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী লতিফুর রহমান বলেন, মশা নিধনের স্প্রে মারলে স্থায়ী সমাধান হবে না। আশেপাশে যে ময়লার স্তুপ, তা সরিয়ে নিতে হবে। ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন রেখে উপরে বালি দিলে সুন্দর একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে। হলের চারপাশে ড্রেনগুলোতে ঢাকনার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এস্টেট অফিসের প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলাউদ্দিন জানান, আমি কিছুদিন আগেই দায়িত্ব নিয়েছি। কাজ শুরু করে দিব ইনশাআল্লাহ। ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আগামীকাল অফিসে পরামর্শ করে মশা নিধনের স্প্রে মারার ব্যবস্থা করতেছি।
ইবি চিফ মেডিক্যালের অফিসার ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জানান, এখনও পর্যন্ত মশা-বাহিত রোগ বা ডেঙ্গু পজিটিভ পাননি। ডেঙ্গু পরীক্ষার সরঞ্জাম পর্যাপ্ত রয়েছে। বর্তমান ক্যাম্পাসে এডিস মশা লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না থাকার আহ্বান করেছেন। তবে সতর্কতা আর মশারির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজকালের খবর/বিএস