প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৬:৪১ PM

বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিনে’র পরিবর্তে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ বলে অভিহিত করার দাবি জানিয়েছে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা (প্রাচি)। একই সঙ্গে ৫ জুলাই জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতা ও উপস্থিত চিকিৎসকরা।
প্রাচির জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ডা. সালেহ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আবদুল মোতালেব মতিন প্রমুখ।
চিরায়ত চিকিৎসাব্যবস্থার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা সংবলিত প্রাচির কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান।
মতবিনিময়কালে চিকিৎসকগণ বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজসমূহের সঙ্গে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি। হাসপাতাল না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় এলোপ্যাথিক হাসপাতালে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজর নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই, রয়েছে চরম অবহেলা। আমাদের এ ধরনের হাসপাতাল না থাকলেও পাশের দেশ ভারতেই বিশ্বমানের চক্ষু, দাঁত ও ক্যানসারের বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে।
প্রাচি মনে করে বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত। সেইসঙ্গে এই শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি।
চিকিৎসকগণ দাবি করেন, বাংলাদেশ ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট ২০২৩ এলোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য সঠিক হলেও ইউনানী ও আয়ুর্বেদের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না। আলোচ্য আইনটি পাশের পূর্বে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতিনীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা একান্ত আবশ্যক। একইসঙ্গে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি।
আজকালের খবর/ওআর