প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ৫:১৪ PM
পটুয়াখালীতে মাদরাসার ১ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে মারাত্মক অসুস্থ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলা নং- ৩৫১/২০২৪। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে উক্ত অমানবিক ঘটনার ভিকটিম শিশুর বাবা কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, আমার ৮ বছরের শিশু পটুয়াখালী জেলা শহরের শের-ই-বাংলা সড়কস্থ দারুল কুরআন মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে আসছিল। ঘটনার দিন ৯ জুন বেলা ১১টার সময় মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান মাদরাসার ৩য় তলায় তার রুমে নিয়ে তার পুরুষাঙ্গে তেল মেখে শিশু ছাত্রকে জোড়পূর্বক বলাৎকার (যৌন কামনা চরিতার্থ) করেন। এ সময় শিশু ছাত্র কান্নাকাটি করলে তাকে বেধরক মারধর করে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে মাদরাসায় আটকে রাখেন। শিশু ছাত্র অসুস্থ হলেও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান কোনো প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন নাই এবং অভিভাবককে বিষয়টি জানায় নাই। উল্টো শিশুকে কাউকে না বলার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। ১২ জুন শিশুটি কোরবানীর ছুটিতে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের খাসেরহাট বাড়িতে গেলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিশুটি ব্যাথায় ছটফট করছিল। এ সময় মা ব্যাথার কারণ জানতে চাইলে, শিশুটি মাকে বিস্তারিত জানায়। মা ১৫ জুন শিশুটিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। শিশু ছেলে হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনে ছাত্রের বাবা কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরিদপুর থেকে এসে ঘটনা অবহিত হয়ে উক্ত আদালতে ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে ও ঘটনাটি গোপন রাখা ও শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখানোয় প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবিরের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উক্ত মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. জসিম জানান, প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির স্যার ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান কয়েকদিন ধরে মাদরাসায় আসেন না।