প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ৩:২৬ PM
সরকারী চাকুরিতে কোটা সংস্কার ও আদালত কর্তৃক ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ব্যনারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ডায়না চত্বরে এসে ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ বলেন, আমাদের দাবি বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থায় হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করা হোক আর সেই সঙ্গে আমাদের দাবি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা নয় মেধাকে যাচাই করে চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মত আমাদের দেশেও কোটা আধুনিকায়ন করতে হবে।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সীমা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন, সেখানে এই ধরনের কোটা প্রথা রীতিমতো বৈষম্য। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে কোটা পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেগুলোও অনুসরণ করার কথা জানান তিনি।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজকালের খবর/এসএইচ