প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ২:১১ PM
![](../2024/07/02/ak_1719907990.jpg)
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ চালুর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন। এর ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ও প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাসও বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এতে শিক্ষার্থীরা রয়েছে সেশনজটের শঙ্কায়।
এছাড়া ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত-উপাদানকল্প ১৯৮ কলেজের শিক্ষার্থী ও সেবাপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদেরর আরেকটি অংশ প্রসাশনিক কাজ বন্ধ করে রেজিস্টার ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৈষম্যমূলক এই পেনশন স্কীম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারি দেন, এই স্কীম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন ও সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতির এই কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালন করছে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনের মাঠে সরব হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমিতিগুলোও।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৩ মার্চ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর এতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্তর্ভূক্তির শুরু থেকেই এই ব্যবস্থাকে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বলে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো। এ সংগঠনগুলো দাবি আদায়ে বেশ কিছু কর্মসূচী পালন করে।
আজকালের খবর/এসএইচ