শনিবার ৬ জুলাই ২০২৪
বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রভাব ও বাস্তুচ্যুতি সংকট
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ৭:৫৪ PM
সবারই ইচ্ছা থাকে চিরচেনা গণ্ডিতে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু পরিস্থিতি ও দুঃসময় মানুষকে ভালো-বাসার বন্ধন ছিঁড়তে বাধ্য করে। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে চলে যেতে হয়। এ কথা নির্মম হলেও সত্যি যে শরণার্থীরা সব সময়ই আশ্রয়দাতা দেশের বোঝা। তা সে দেশ তাদের সাদরেই গ্রহণ করুক বা উপরোধে ঢেঁকি গিলুক। কারণ, শরণার্থী তো আর আমন্ত্রিত অতিথি নয় যে স্বল্প সময়ের সফরে গিয়ে চারটে খেয়ে একটু ঘুরে বিদায় নেবে। শরণার্থীদের স্বল্পকালীন অবস্থানও যে কোনো দেশের বাজেটে টান ফেলে দেবে। আন্তর্জাতিক সহায়তা এখানে আবশ্যক। শরণার্থীরা বেশির ভাগই স্থান বদলে প্রতিবেশী দেশকে বেছে নেয়। কারণ, সীমান্ত কোনোমতে পার হতে পারলেই নতুন ঠিকানা। আর প্রতিবেশী দেশের ভূগোল, আবহাওয়া, মানুষজন সম্পর্কে ধারণা থাকে বেশি। কাজেই সেখানে চলাফেরা করাটা তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক। এ জন্যই শরণার্থীদের প্রথম পছন্দ প্রতিবেশী দেশ। ভেনেজুয়ালার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এর মধ্যে ব্রাজিল অন্যতম। একটু দূরে পেরুতে অবশ্য বেশিই যাচ্ছে। আরো যাচ্ছে আমেরিকা আর স্পেনে। ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে সাত মাইল দূরের দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে গত বছর সাত হাজারের বেশি ভেনেজুয়েলান আশ্রয় চেয়ে আবেদন করে। সে দেশের দ্বীপগুলোতে এর মধ্যে ৪০ হাজার ভেনেজুয়েলান আশ্রয় নিয়েছে। ভেনেজুয়েলা থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ লোক অন্য দেশে চলে গেছে। ইউএনএইচ- সিআরের তথ্যমতে, শরণার্থীদের ৭০ ভাগই পাঁচটি দেশের নাগরিক। দেশগুলো হচ্ছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার ও সোমালিয়া। তারা বেশির ভাগই প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। সিরীয় শরণার্থীরা সিংহভাগই এখন তুরস্কে। আফগান শরণার্থী অর্ধেকের বেশি পাকিস্তানে। দক্ষিণ সুদানের অনেক শরণার্থী হয় সুদান নয়তো উগান্ডায় আশ্রয় নিয়েছে। আর মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা কোথায় আছে, তা সবারই জানা।

সম্প্রতি যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ মাসেই জাতিসংঘ এই তথ্য জানিয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যাকে ভয়ানক হিসেবে বর্ণনা করেছে বিশ্ব সংস্থাটি। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা আবার রেকর্ড ভেঙেছে। ফিলিস্তিনের গাজা, সুদান ও মিয়ানমারের মতো জায়গার সংঘাত আরো বেশি মানুষকে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন জাপানের জনসংখ্যার সমান। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, সংঘাত এখনো ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির একটি খুব বড় কারণ। ইউএনএইচসিআরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের শেষ নাগাদ ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ নাগাদ সংখ্যাটি আরো বেড়েছে। আনুমানিক হিসাবে এখন বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় বসবাস করছে। সংখ্যাটি এক বছর আগের ১১ কোটির চেয়ে বেশি। আর টানা ১২ বছর ধরে সংখ্যাটি বাড়ছে। নতুন ও পরিবর্তনশীল সংকটের সংমিশ্রণসহ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে ২০১২ সালের তুলনায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। গ্র্যান্ডি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আট বছর আগে তিনি যখন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখনই উচ্চ বাস্তুচ্যুতির পরিসংখ্যান দেখে মর্মাহত হয়েছিলেন। গ্র্যান্ডি বলেন, তারপর সংখ্যাটি দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। তিনি একে বিশ্বের জন্য একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেন। এই সংকট আরো তীব্র হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেন গ্র্যান্ডি। জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মানুষের স্থানান্তরকে প্রভাবিত এবং সংঘাতের দিকে ধাবিত করছে।

ইউএনএইচসিআর গত বছর বিশ্বের ২৯টি দেশে মোট ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। গ্র্যান্ডি সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র কয়েক বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা চার গুণেরও বেশি। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক আইন সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে যেভাবে সংঘাত হচ্ছে, সে কথা উল্লেখ করে গ্র্যান্ডি বলেন, এটি প্রায়ই মানুষকে আতঙ্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে পরিবর্তন না হলে, দুর্ভাগ্যবশত যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো, সংখ্যাটি ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ যে ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয় কোটি ৮৩ লাখ নিজ দেশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, শরণার্থীসহ অন্য যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজন, তাদের সংখ্যা ইতিমধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৩৪ লাখ। শরণার্থী ও অন্যান্য অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ধনী দেশগুলোতে চলে যায় বলে যে ধারণা, তার প্রতি একমত পোষণ করেনি ইউএনএইচ- সিআর। সংস্থাটি বলেছে, অধিকাংশ শরণার্থীকে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ৭৫ শতাংশ শরণার্থী নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বসবাস করছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির একটি বড় কারণ সুদানের গৃহযুদ্ধ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে দুই জেনারেলের ক্ষমতার লড়াইয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। পরে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ইউএনএইচসিআর বলছে, এই গৃহযুদ্ধে ৯০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশটির প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ উৎপাটিত হয়েছে। এই সংখ্যা এখনো বাড়ছে। এখনো অনেকে সুদান থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদে যাচ্ছে। দেশটিতে গত ১৪ মাসে প্রায় ছয় লাখ সুদানি গেছে। একটি বিধ্বস্ত দেশ থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও মিয়ানমারে ভয়ংকর লড়াইয়ে গত বছর লাখো মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জেরে গাজায় আট মাস ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের হিসাবমতে, এই যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ (১৭ লাখ) বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলছে। জাতিসংঘের হিসাবমতে, গত বছর ইউক্রেনের অভ্যন্তরে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ নতুনভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশটির মোট ৩৭ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনীয় শরণার্থী ও আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা দুই লাখ ৭৫ হাজারের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি-সংকটের কেন্দ্রে এখনো রয়ে গেছে সিরিয়া। দেশটির ভেতরে-বাইরে এক কোটি ৩৮ লাখ মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধ, সহিংসতা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা এত মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। তবে সংখ্যা কিন্তু থেমে নেই, ক্রমেই বাড়ছে। গত ১০ বছরে স্থানচ্যুত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী বিধ্বংসী যুদ্ধ বহু পরিবারকে নিজ এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।

মানুষের বাস্তুভিটা ত্যাগের পেছনে আরো রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য বিপর্যয়। বিশেষ করে দেশের ভেতরই মানুষের জায়গা বদলের অন্যতম প্রধান কারণ এটা। গৃহযুদ্ধ বা অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আরও যেসব দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এর মধ্যে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন ও মিয়ানমার অন্যতম। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও ব্যাপক গণহত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের আগস্টে সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্য থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বেলায় সবচেয়ে উদার দেশ জার্মানি। সেখানে পাঁচ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। আফগান শরণার্থী রয়েছে প্রায় দুই লাখ। তবে শরণার্থীদের জন্য দ্বার অবারিত করার সুযোগে সন্দেহভাজন কিছু দুর্বৃত্তও ঢুকে পড়েছে জার্মানিতে। ধারাল অস্ত্র নিয়ে কয়েক দফা হামলার ঘটনায় এর প্রমাণ মিলেছে। গত আগস্টে জার্মানিতে ভিড়েপূর্ণ এক রেলস্টেশনে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুজন নিহত হয়। এসব কারণে শরণার্থী গ্রহণে আগের চেয়ে একটু কঠোর হয়েছে জার্মানি। জর্ডানে জনসংখ্যার তুলনায় শরণার্থী একটু বেশিই। সেখান প্রতি ছয়জনে একজন শরণার্থী। তবে জর্ডানে আশ্রয় পাওয়া সিরীয় নাগরিকদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশ্বে শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী শিবির রয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায়। ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস। একটা জায়গায় একসঙ্গে এত মানুষ বাস করলে সেই জায়গা এমনিতেই নানাভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এরপরও দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। এই বিপুল জনসংখ্যা স্থানীয় মানুষের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গাদের চাপে টেকনাফে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিনগুলোতে বাস্তুহারা ও শরণার্থীর সংখ্যা বাড়বে। এর মূল কারণ যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্কের টানাপোড়ন অনেক আগে থেকে আশান্তির ধোঁয়া ওগরাচ্ছে। ইসরায়েলও ইরানকে একহাত নিতে একপায়ে খাড়া। কারণ, উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে এখন ইরানই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। ইরান আরো শক্তিশালী হলে ছোট্ট একটি দেশ হয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইয়েলের ছড়ি ঘোরানো বন্ধ হয়ে যাবে। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ, লাতিন আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, বলিভিয়া, মেক্সিকোতেও শান্তি নেই।

যদিও ভূরাজনৈতিক কৌশলের ওপরই কোনো দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে উঠে। ভূরাজনীতির যেসব উপাদান রয়েছে-তার যথার্থ ব্যবহারে ও সংরক্ষণে ব্যর্থ হলেই সর্বনাশ। এ উপাদানগুলো হচ্ছে পররাষ্ট্র সম্পর্ক, সমাজের অবস্থান, সম্পদের অবস্থান, জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদ, ধর্মের ব্যবহারিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ এবং রাষ্ট্রের জনগণ। পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো রাষ্ট্রের ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে, সে দেশের ভূরাজনীতি। নব্য উদারতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের এই যুগে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা আরো বৈচিত্র্যময় এবং এর শিকড় অনেক গভীরে। যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনগণের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কাঠামোগত শক্তির কারণে সৃষ্ট সামাজিক সংকটের কারণে লাখ লাখ মানুষ অদূর ভবিষ্যতে ফিরে আসার সামান্য আশা নিয়ে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও অনেক ক্ষেত্রে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই উদ্বাস্তুদের দুর্দশার জন্য শুধু আমাদের সহানুভূতিশীল হলেই চলবে না। যে শক্তিগুলো এই পরিস্থিতি তৈরি করছে অবশ্যই তাদের জবাবদিহি করার সংকল্প করতে হবে। দেশি ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শরণার্থীদের পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে। এজাতীয় হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে অনেক ধনী দেশের স্বার্থ জড়িত। কাজেই ধনী দেশগুলোর ভূমিকা উপেক্ষা করা অসম্ভব, শরণার্থী সমস্যা সমাধানে বড় দেশগুলোকে অবশ্যই আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। অন্যতায় এসব পরিস্থিতি এভাবে বিপর্যয়ের দিকে এগোতে থাকলে বিশ্ব পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেবে তা-ই এখনকার বিবেচ্য বিষয়।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক।

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
হত্যা মামলা: বাঘা পৌরসভার মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার
জনগণ দেশ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে
নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
কোটা বাতিলের দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বড়াইগ্রামে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই: এমপি সুমন
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মেয়াদ বাড়ল আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft