প্রকাশ: সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ৪:০২ PM
![](../2024/07/01/ak_1719828230.jpg)
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর টুগেদার অ্যালায়েন্স দলকে পরাজিত করে অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচক মারিন লু পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে জয় পেতে যাচ্ছে।
তবে নির্বাচনের দুই পর্ব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা জয় পাবে কি-না, তা আগামী সপ্তাহের রান-অফ ভোটের আগের দিনগুলোতে হতে যাওয়া রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর নির্ভর করছে।
প্রথম দফা ভোটের পর ইপসোস, ইফপ, ওপিনিয়ন ওয়ে এবং এলাবের পরিচালিত বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে, আরএন প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছে। এই পরিমাণ ভোট নিয়ে তারা বামপন্থি ও মধ্যপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর টুগেদার অ্যালায়েন্স ২০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ এবং বামপন্থিদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট পেতে যাচ্ছে।
এ ফলাফল প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর জন্য একটি বড় ধরনের বিপর্যয়। চলতি মাসের প্রথমদিকে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার মনোনীত প্রার্থীরা আরএনের প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর আগাম এ নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন ম্যাক্রো। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না আর এ নিয়ে মিত্ররা ম্যাক্রোঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে।
বুথ ফেরত জরিপের এই ফলাফল নির্বাচনের আগে করা জরিপগুলোর সঙ্গে মিলে গেছে। আর এ ফলাফল লু পেনের উৎফুল্ল সমর্থকদের প্রত্যাশার সঙ্গেও মিলে গেছে। তবে আগামী রবিবারের রান-অফ ভোটের পর কট্টর ডানপন্থি আরএন ইউরোপন্থি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সহাবস্থান করে সরকার গঠনে সক্ষম হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রথম পর্বের ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে শীর্ষে থাকা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করবেন। তাদের পাশাপাশি যে প্রার্থীদের পক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে তারাও দ্বিতীয় পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই পর্বে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীই জয়ী হবেন।
যদি দ্বিতীয় পর্বের ভোটে জিতে আরএনের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম হয় তাহলে দলটির সভাপতি জগদান বাগদেলা (২৮) হবেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
আজকালের খবর/এসএইচ