প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ১০:০৪ AM
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ দলের বড় ভরসা কে? নির্দ্বিধায় সবার মুখে নিশ্চয়ই তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নামই আসার কথা। সে দুজন আজও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের বড় সময় ধরে পথ দেখিয়েছেন। হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ’র ৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটিতে প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ও প্রায় ধরা দিচ্ছিল। কিন্তু আম্পায়ারের দুটি ভুল সিদ্ধান্তর কারনেই কী কপাল পুড়ল বাংলাদেশের?
এদিন ম্যাচের সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদউল্লাহর সামনের প্যাডে আছড়ে পড়ে একটি বল। আউট দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরআস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেন রিয়াদ। রিভিউয়ে দেখা যায় যে বলটা স্টাম্পে লাগছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পালটে নেন তৃতীয় আম্পায়ার।
কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দেওয়ায় বলটা রিয়াদের প্যাডে লেগে বাউন্ডারিতে চলে গেলেও চার রান পায়নি বাংলাদেশ। যে চারটি রান বাংলাদেশ পেয়ে গেলে ১৯ তম ওভারেই সম্ভবত খেলা শেষ হয়ে যেত। শেষের দিকে যে চাপ তৈরি হয়েছিল, সেটাই হত না।
তবে বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য সেখানেই শেষ হয়নি। ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই হৃদয়কে এলবিডব্লু দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরএস নেন তাওহীদ। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছিল যে বলটা লেগস্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিভিউয়ে দেখা যায়, একেবারে একচুলের জন্য বলটা লেগস্টাম্পে লাগতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আর যেহেতু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেন, তাই সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ৩৪ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যেতে হয় হৃদয়কে। সেই সময় জয়ের জন্য বাংলাদেশের ১৮ বলে ২০ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল ছয় উইকেট।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার যদি সেইসময় মাঠে থাকতেন, প্রায় নিশ্চিতভাবে ম্যাচটা জিতিয়ে ফিরতে পারতেন। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি আউট হতে বাংলাদেশের স্নায়ুর চাপ বেড়ে যায়। যে স্নায়ুর চাপে শেষপর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ।
আজকালের খবর/এসএইচ