প্রকাশ: সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ৯:৩৮ AM

ময়মনসিংহের সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাগেজবন্দি চার খণ্ড মরদেহটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভের। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী ছিলেন। সে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে।
নিহত সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলেছেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে সৌরভ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
রবিবার (২ জুন) সকালে সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা ব্রিজের নিচে স্থানীয়রা একটি মরদেহের মাথা পলিথিনে মোড়ানো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ খাদে লাগেজ থেকে মাথা ছাড়া মরদেহ এবং খানিকটা দূরে পলিথিনে মোড়ানো মাথা উদ্ধার করে। লাশের পাশে বালিশও ছিল।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী লাশের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নিহতের চাচা রতন আলী বলেন, সৌরভ তার বাবা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতো। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী। গত শনিবার রাতে সৌরভ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসে। তার বাবা ইউসুফ আলী আকন্দ ডাক বিভাগে কর্মরত। সৌরভ আমার ভাতিজি ইভাকে বিয়ে করে; সে বিয়ে মেনে নেয়নি ইভার বাবা ইলিয়াস আলী। পরে ইভাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, এসব নিয়ে আমাদের পারিবারিক কিছুটা বিভেদ চলছিল। তবে সেই বিভেদ থেকে সৌরভকে খুন করার মতো নয়। সেখানে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সৌরভ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক বিরোধে সৌরভকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। নিহতের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুরে চার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আজকালের খবর/এসএইচ