প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৪২ PM
![](../2024/04/02/ak_1712054666.jpg)
ঈদযাত্রায় ৬০ লাখ মোটরসাইকেল চালকদের জন্য সুখবর। দুই চাকার এই যান চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। নিজস্ব বাইকে আন্তঃজেলা রুটে চলাচল করা যাবে। এমনকি পদ্মা সেতুও পারি দেয়া যাবে। তবে কোনো রাইড শেয়ারিং গাড়িতে চলাচল করা যাবে না। করলেই ব্যবস্থা।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
এদিকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে সড়কপথে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে আইন মেনে মোটরসাইকেল চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে মোট রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫টি। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩টি। রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ২০ লাখ ৯৩ হাজার যানবাহনের মধ্যে বাইকের সংখ্যা ১১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১টি। মোটর মোটরসাইকেলে একটি অংশ অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অর্থাৎ ভাড়ায় চলে। আরেকটি অংশ অনুমোদনহীনভাবে সরাসরি চুক্তিতে চলে।
সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছি ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল যেন চলাচল করতে পারে। এ ব্যাপারে বিআরটিএ পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলে দুই জনের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। উভয়ের হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি গাড়ির প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কেউ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে পথে থাকা মোবাইল টিম মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদযাত্রায় সড়কপথে মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো বাধা নেই। তবে ভাড়া করা মোটরসাইকেলে চলাচল করা যাবে না। ব্যক্তিগত বাইকে যাতায়াত করা যাবে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে পদ্মা সেতু দিয়েও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। এজন্য সেতুতে আলাদা লেন তৈরি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের টোল আদায়ে থাকবে পৃথক ব্যবস্থা।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে সরকার। গত বছরের ঈদুল ফিতরের সময়ও তা নিষিদ্ধ ছিল। তবে গত ঈদুল আজহার সময় অনানুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেল পরিবহন চালু করা হয়। ২০২২ সালে ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সাত দিন মহাসড়ক ও এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সড়ক বিভাগ। মূলত সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর চিন্তা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
আজকালের খবর/বিএস