প্রকাশ: রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১১:৪৮ PM

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘‘স্বাধীনতাই ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যান, জ্ঞান ও সাধনা’’ শীর্ষক বক্তৃতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।
বক্তব্যে ড. চৌধুরী ইতিহাস পর্যালোচনা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যান, জ্ঞান, সাধনা ও কর্মযজ্ঞ এবং সে কারণে সঠিক সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা ও সঠিক সময়ে কাঙ্খিত পরিনতি হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে তিনি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ব্রতি হয়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতার একটি ঘোষণা নয়, ২৬ মার্চে তিন তিনটি ঘোষণা দেন এবং প্রথম ঘোষণাটির ভিত্তিতে পাকিস্তান সরকার তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। তবে মৃত্যু ভয় বা প্রলোভনকে উপেক্ষা করে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তাই তো তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান জাতির মহান স্থপতি জাতির পিতা।
দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে আইনত ও সাংবিধানিক বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার আইনত, নৈতিক ও কার্যত অধিকার ছিল একমাত্র বঙ্গবন্ধুর। অতএব তাতে কোন বিকল্প বা সমকক্ষতা আনা অবান্তর। এই বাস্তবতা বুঝেই মেজর জিয়াউর রহমান কখনো স্বাধীনতার ঘোষক বলে নিজকে দাবী করেন নি।
এই প্রবন্ধে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের প্রেরিত শুভেচ্ছার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন ‘যে পর্যন্ত একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি, জীবিত পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীর বিচার আমাদের প্রাপ্য পরিশোধ ও সর্বসমক্ষে গণহত্যার জন্যে মার্জনা চাওয়া না হবে সে পর্যন্ত এই শুভেচ্ছা জাতীয় ‘মুখের কথায় চিড়ে ভিজবে না।’
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম. নূরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক জাকি ইমাম, ডেপুটি রেজিষ্ট্রার আহসান তৌহিদ মিল্টনসহ আরো অনেকে।
আজকালের খবর/এসএইচ