প্রকাশ: রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:২৮ PM আপডেট: ১২.০২.২০২৪ ৯:৩৮ PM
জাবি উপাচার্য এবং প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু বাসভবনে থাকা? আর উপাচার্য ভবনে বসে উপাচার্য পদ উপভোগ করা? বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান৷
রবিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে ক্যাম্পাসকে অবৈধ বসবাসকারী, মাদক, চাঁদাবাজি ও নিপীড়ন মুক্ত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, র্যাব বলেছে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছেন,ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছেন জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছেন। যদি আপনি জাহাঙ্গীরনগরের অভিভাবক ও উপাচার্য হিসেবে মনে করেন আপনি ব্যর্থ হয়েছেন তাহলে এটা স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়? আমরা এখানে দাড়িয়েছি এটা কোনো দলের প্রোগ্রাম নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ড.বোরহান উদ্দীন। তিনি বলেন, আজও কি কোন তালিকা করা হয়েছে। হলে কতজন অবৈধ ছাত্রকে বের করা হয়েছে? হলে রুম এ্যালটমেন্টের মাধ্যমে ছাত্রদের রুম বরাদ্দ দেওয়া হয় এ থেকে প্রশাসনের জানা আছে কোন রুমে কোন শিক্ষার্থী আছে? বর্তমান প্রশাসন নাম মাত্র কিছু শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের মাধ্যমে আইওয়াশ করা হচ্ছে। যে তদন্ত কমিটি গঠন কর হয়েছে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে তার প্রতিবেদন সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।
অধ্যাপক ড. নাজমীন সুলতানা বলেন, ছাত্রদের মাদক ব্যবসার পেছনে প্রশাসন দায়িত্ব ব্যবস্থাপনার অবহেলায় দায়ী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি এর পিছনে হল প্রশাসনও দায়ী তাই সবাইকে বিচার এর সম্মুখীন হতে হবে সকলকে। হল প্রশাসন চলে পোস্টেট নেতা দ্বারা।
অধ্যাপক ড. শামছুল আলম সেলিম বলেন, দেশে যে গণতন্ত্র হীনতা চলছে তার ছায়া দেখতে পারছি।মুস্তাফিজদের মতো এসব ছাত্রদের এর গডফাদার কারা? ক্যাম্পাস থেকে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিকে কেনো বিলুপ্ত করতে পারছি না। আমাদের হলের সিট ১৪ হাজার কিন্তু ছাত্র সংখ্যা ১২ হাজার, তাহলে এতগুলো সিট গেলো কোথায়। হলে যারা নেতৃত্ব দেয় বেশিরভাগ ছাত্রদের ছাত্রত্ব নেই তাহলে তারা কিভাবে হলে থাকে? কেনো ১৫ বছরে সিট ব্যবসা শুরু হলো? এতবড় নিরাপত্তা বাহিনী ও নিরাপত্তার কাজে ৩ টা গাড়ি ব্যবহার করা সত্ত্বেও কেনো নিরাপত্তা প্রদান করতো পারছে না প্রশাসন? প্রশাসন ইতিমধ্যে তাদের কাজের টালবাহানা শুরু করেছে। ৫ কর্মদিবসে পার হলেও অবৈধ শিক্ষার্থীদের কেন হল থেকে বের করতে পারে নি। মাদকবিরোধী ক্যাম্পাস গড়ার জন্য ভিসির প্রতি অনুরোধ।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক রাশিদুল আলম, অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়া।
আজকালের খবর/বিএস