সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত গতিতে চলবে। আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়ে, আপস করে, করমর্দন করে, কারো সঙ্গে চুক্তি করে রাতের বেলায় দেখা করে কোনোরকম সমঝোতা করার চেষ্টা করছি না।
আমরা এই লড়াই চালাব এবং বিশ্বাস করি এই লড়াইয়ে আমরা জিতব।
রবিবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ রেলগেটে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা উত্তরের পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর পদযাত্রাটি মালিবাগ থেকে শুরু হয়ে বাড্ডায় গিয়ে শেষ হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বোঝা যাচ্ছে আজকে বাংলাদেশের মান বিশ্বের বুকে লুণ্ঠিত। আমেরিকা আমাদের স্যাংশন দেয়নি। কিন্তু বলেছে, তোমরা ভোট চুরি কর, তোমরা মানুষকে কথা বলতে দাও না, মতপ্রকাশ করতে দাও না, নির্যাতন কর। এই সমস্ত কাজ সামনের নির্বাচনে যদি করা হয় তাহলে তাদের আমরা আর ভিসা দেব না। এটা শুধু রাজনৈতিক নেতাদের জন্য নয়, পুলিশ বলেন, র্যাব বলেন, আর্মি বলেন সবার ব্যাপারে এই কথা বলা হয়েছে।
মান্না আরও বলেন, দুনিয়ার বুকে সমস্ত মানসম্মান এই সরকার শেষ করে দিয়েছে। অতএব আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, বহু বছর ধরে বলছি, ভোট চুরি করে, জালিয়াতি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, অত্যাচার করে, গুম-খুন করে ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘদিন সম্ভব নয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, আপনি বিদ্যুৎ উৎসব করেছেন, উন্নয়নের কথা বলেন অথচ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হতে চলেছে। কয়লা নেই, কয়লা আনতে পারে না, কয়লার টাকা দিতে পারে না। টাকা নেই, ডলার নেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, কিন্তু দাম কমাতে পারে না। সারা দুনিয়াতে দাম কমে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার দাম কমাতে পারে না। এরকম অপদার্থ, ব্যর্থ, লুটেরা সরকারকে আমরা চাই না।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আন্দোলন থামাচ্ছি না, চুরি করে বাটপারি করে আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির চেষ্টা করে, লোভ দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চলছে। আমরা বহুবার বলেছি, কোনো ভয়ের কাছে মাথা নত করবো না। কোনো লোভের কাছে আত্মসমর্পণ করি না। কোনো জেল-জুলুমকে ভয় পাই না। যদি ভয় পেতাম তাহলে আজকে এ বাধার পরও এভাবে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারতাম না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাউয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার বক্তব্য রাখেন।
আজকালের খবর/বিএস