প্রকাশ: শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ৬:০৮ PM
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জীবিত এক ভাতাভোগীর নামে মৃত্যু সার্টিফিকেট দিয়ে ভাতা বন্ধ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিজা গাইন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৮ নং ওয়ার্ডের শিমুলবাড়ী গ্রামের যুধিষ্ঠির বাড়ৈর স্ত্রী মালতী বাড়ৈ এর নামে ২০১৪ সালে বয়স্ক ভাতা পরিশোধের বই করে উপজেলা সমাজসেবা অফিস। তাহার বই নং ৭৫২৩ এবং ব্যাংক হিসাব নাম্বার ৩৪৬২। মালতি বাড়ৈ ২০ জুলাই, ২০১৯ পর্যন্ত ভাতা গ্রহন করেছেন। এরপর আর তিনি ভাতা পাননি। বর্তমান তার বয়স ৮০ বছর। এদিকে সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিজা গাইন মালতি বাড়ৈ মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে তার মৃত্যু সনদ দাখিল করে ভাতা প্রদান বন্ধ করেন।
মালতি বাড়ৈর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বাবা আমি তো তোমাদের আর্শিবাদ এবং ঠাকুরের কৃপায় এখনো বেচে আছি, মরে তো যাই নাই। বয়স্ক ভাতা পেতাম, দীর্ঘদিন ধরে পাইনা। ভাতার অফিসে গেলে সেখানে জানতে পারি যে আমি মারা গেছি।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য লিজা গাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। সমাজসেবা অফিসে সংশোধন করে দিয়াছি।
৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিমল গাইন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যে মেম্বর লিজা গাইন মালতি বাড়ৈকে মৃত বলে সার্টিফিকেট দাখিল করে তার ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে, এটা চরম অপরাধ। তিনি ভুল স্বীকার করে সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলেছে।
কলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, মৃত্যু সনদ আমি দিয়েছি। তবে মহিলা মেম্বার লিজা গাইন মালতি বাড়ৈর মৃত্যু নিশ্চিত করে সার্টিফিকেট স্বাক্ষর করার পর আমি স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু যার মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে পরে জানতে পারলাম যে সে এখনো জীবিত আছেন। একজন জীবিত ব্যাক্তির নামে মৃত্যু সনদ দেওয়া অত্যান্ত দুঃখজনক এবং চরম অন্যায় হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রাকিবুল হাসান বলেন, মালতি বাড়ৈ জীবিত এবং আমার এখানে তার ভাতা চালু আছে। কেন মালতি বাড়ৈর নামে মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে সেটা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে জানেন।
আজকালের খবর/ওআর