বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪
চালের বাজারে ত্রুটি-বিচ্যুতি: নিতে হবে নতুন বিপণন কৌশল
অনুপ কুমার সাহা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩, ৭:০৮ PM
দেশ এখন চালে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বৈশ্বিক উৎপাদনেও বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। দেশে চালের উৎপাদন প্রায় চার কোটি টনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও মানুষের চাল গ্রহণের পরিমান কমছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ ও তথ্য বলছে, একজন মানুষের গড়ে দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমান ২০২২ সালে ৩২৮ দশমিক নয় গ্রাম। যা ২০১৬ সালে ছিল ৩৬৭ গ্রাম। সে হিসেবে ওই বছরে একজন মানুষের চাল লেগেছে ১৩৪ কেজি। যদিও ২০১০ সালে চালের ভোগ আরো বেশি ছিল। সে বছরে একজন মানুষের গড়ে চালের প্রয়োজন ছিল প্রায় ৪১৬ গ্রাম। ফলে এক যুগের ব্যবধানে দেশের মানুষের চালের ভোগ কমে গেছে প্রায় ৫০ গ্রাম। ভোক্তাদের এই চালের ভোগ কমে যাওয়ার কারণে চালের বাজারের বিপণন কৌশল বদলাতে হবে। দেশের চালের প্রায় পুরোটাই যোগান দিচ্ছে দেড় কোটির বেশি কৃষক। যেখানকার কৃষকের অধিকাংশই ছোট ও ক্ষুদ্র। ফলে চালের বিপণন কৌশলে কৃষকের স্বার্থ বিষয়টি অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। আবার চালের এই স্বয়ম্ভরতা আনতে গিয়ে এখন দেশের মোট চাষাবাদের জমির প্রায় ৭৬ শতাংশ ধান আবাদে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ধান উৎপাদনে জমির বিকল্প ব্যবহার বাড়ানোয় নজর দিতে হবে। না হলে অনান্য খাদ্যশস্য উৎপাদন ধরে রাখা অসম্ভব হবে। তাই সামগ্রিক চালের বাজারে ও বিপণন কৌশলে কৃষক, ভোক্তা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।

ভোগ্যপণ্য হিসেবে চালের ভোক্তা সবচেয়ে বেশি। দেশের সব মানুষের কম বেশি চালের প্রয়োজন। চালের বাজারে বড় ক্রেতা হলো মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। উচ্চবিত্তদের চাহিদা তুলনামূলক কম। তারা সরু চালের ভোক্তা এবং মাসে তাদের ২০ কেজির বেশি চালের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রয়োজন হয় মাসে ৪০ থেকে ৫০ কেজি বা তারও বেশি। এটি পরিবারের সদস্য সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। এ শ্রেণির মানুষ বেশিরভাগই তিনবেলা ভাত খায়। মূলত চালের উচ্চমূল্য তাদের এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। মোটা চালের দামই যখন ৬০ টাকা বা তার ওপরে উঠে যায়, তখন এই শ্রেণির লোক খুবই দুর্ভোগে পড়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দাম বৃদ্ধির পেছনের কারিগর আসলে কারা? কীভাবে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালিত হয়? চালের বাজার নির্ভর করে ধানের বাজারের ওপর। ফলে ধানের দাম সঠিকভাবে বাজারে না থাকলে চালের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে। গত কয়েক বছরে দেশের ধানের বাজারে সঠিক তথ্যের অনেক অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া এই বাজারে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রনহীন বিচরণ বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ফলে বাজারে ধানের দাম ও অনান্য বিষয় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে চালের দাম কীভাবে কমবে? আমাদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই। চালের চাহিদা ও উৎপাদন তথ্য সঠিক হওয়া দরকার। আমরা জানি না আমাদের চাহিদা কতটুকু। আর উৎপাদন কতটুকু করতে হবে। ফলে পরিকল্পনায় ভুল হওয়ার শঙ্কা থাকছে বেশি। 

দেশের ধানের বাজারে এখনো পদ্ধতিগত ও দক্ষতার উন্নতি হয়নি। যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠা ও অনুমোদনহীন মজুদদারের মাধ্যমে ধানের বড় একটি অংশের যোগান পরিচালিত হয়। ফলে তারা ভরা মৌসুমে ধানের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও কৃষকের কাছ থেকে তারা কম দামেই ধান কিনছে। এখানে মূলত কৃষকের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে তারা। মূলত কম দামে ধান সংগ্রহ করে কয়েক মাস সেই ধান মজুদ রাখার মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করছে। অথচ এসব ধান কৃষক মজুদ রাখতে পারলে আরো দাম পেতে পারতো তারা। ফলে এখন সময় এসেছে মজুদ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করার। চালের বাজার নাকি করপোরেট কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে এমন তথ্য শোনা যায়। তবে এটুকু বলতে পারি চালের বাজারে করপোরেট কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা ধরে রেখেছে। তাদের কারণেই চালের বাজারে এখনো সঠিকভাবে চাল সরবরাহ হচ্ছে। চালের দাম শুধু উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে না। সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর পণ্যের মূল্য নির্ধারণ অনেকটা নির্ভরশীল। অত্যাধিক উৎপাদন ও মজুদ পর্যাপ্ত থাকলেও সরবরাহ বা বণ্টন ব্যবস্থাপনায় যদি গরমিল পরিলক্ষিত হয়, তবে অপর দুটির সুবিধা সাধারণ ভোক্তা তেমন পায় না। পৃথিবীতে যত দুর্ভিক্ষ হয়েছে বেশিরভাগই সরবরাহ তথা খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেই হয়েছে। দেশে এখনো পর্যন্ত উৎপাদন পরিস্থিতি বেশ ভালো। কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থায় বেশ দুর্বলতা রয়েছে। 

বাংলাদেশে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বেশি হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হলে চালের দামও কমে যাবে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচের সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে বাজার মনিটরিং সহজ হবে। চালের বাজার সঠিক গতিতে রাখতে হলে এ বাজারে কৃষকের উৎপাদন খরচের সঠিক পরিসংখ্যান থাকা প্রয়োজন। আবার কৃষককে ভালো দাম না দিতে পারলে ধানের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হতে পারে। ফলে সবদিক বিবেচনা করেই ধান ও চালের দামে ভারসাম্য আনতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলারদের ভূমিকা খুবই নগন্য। একটা ছোট পরিসংখ্যান দিলে পরিস্কার হবে। আজকের মিল গেটে চালের দাম আর খুচরায় চালের বাজারের পার্থক্য বিবেচনায় নেন। তাহলে পরিস্কার হবে চালের বাজারে কারা দাম বাড়াচ্ছে। আর চালের বাজারে অস্থিতিশীলতায় ভূমিকা কাদের বেশি।  মিল গেটের মূল্যের সঙ্গে বাজার মূল্যের ব্যবধান বেশি হচ্ছে কেন তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

গত কয়ক বছরের ব্যবধানে দেশের চালের বাজারে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ করেছে দেশের বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো। দেশের চাল প্রক্রিয়াজাতকরণে এশিয় অঞ্চলের দেশগুলোর তুলনায় খুব বেশি পিছিয়ে নেই আমরা। বর্তমানে বাংলাদেশে চাল প্রক্রিয়াজাতকরণে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। দেশের বেশ কয়েকটি বড় করপোরেট ও অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। চালের প্রক্রিয়াকরণ ২০১৫ সালের আগেও ব্যক্তিকেন্দ্রীক ছিল। অভিজ্ঞ ও করপোরেটের আলোকে এ পণ্যটির ব্যবসা পরিচালনা করা যায় সেটির ধারণা এখন চালু হয়েছে। এ দেশে চালের ব্যবসার ক্ষেত্রে করপোরেট সংস্কৃতি চালুর ক্ষেতে আমার কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে। এর মাধ্যমে কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত করপোরেট প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ফলে পণ্যটির বাজারে এখন পূর্ণ প্রতিযোগিতা এসেছে। দেশের আরো বেশ কয়েকটি ভালো কোম্পানি এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ালে চালের বাজার সঠিক পথেই ধাকবে।

মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন আসছে চাল কেটে সরু করা হচ্ছে। চাল কেটে সরু করার ধারণাটি একদমই সঠিক নয়। চাল কেটে সরু করা অর্তনৈতিকভাবে লাভজনক নয়। এভাবে চাল সরু করলে কোম্পাগিুলোর মুনাফা থাকে না। উল্টো ক্ষতি হয়। তা ছাড়া চালের পুষ্টিগুন নষ্ট হয়। ফলে চাল সরুকরণের সঙ্গে কোম্পানিগুলো মোটেও জড়িত নয়। এ ছাড়া চালের ব্র্যান্ডিং বাড়াতে হলে অবশ্যই জাতের পাশাপাশি ব্র্যান্ড নামকরণের সুযোগ রাখা প্রয়োজন। তাহলে কোম্পানিগুলো নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে চালের বিপণন করতে পারবে।

ধান থেকে চাল তৈরিতে এখন সারা বিশ্বেই ব্যবহার হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির চালকল। কিন্তু বাংলাদেশে প্রথাগত চালকল থেকে বের হতে পারেনি। চালকলগুলোর যান্ত্রিক অদক্ষতার কারণে মাড়াই চালের দুই-তিন কেজি ভেঙে যাচ্ছে। সাধরাণত এক মণ ধান থেকে ৬৮ শতাংশ চাল পাওয়া গেলেও দেশে তা ৬২-৬৩ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে। চালকলে উন্নত প্রযুক্তির অভাবেই অপচয় হচ্ছে চালের বড় একটি অংশ। সঠিক আদ্রতায় ধান কেটে তা মাড়াই ও ভাঙ্গানো হলে প্রতিমণ ধান হতে প্রায় ২৮-৩০ কেজি চাল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু দেশের অধিকাংশ ধানই সঠিক আদ্রতায় কাটা হয় না। ফলে প্রতিমণ ধান থেকে ২৫-২৭ কেজির বেশি চাল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় আদ্রতাজনিত অজ্ঞতার কারণে প্রতি মন ধানে আমরা ৩-৫ কেজি চাল কম পাচ্ছি। আদ্রতা পরিমাপজনিত প্রযুক্তির অভাবে এখানেও চালের বড় একটি অংশ অপচয় হচ্ছে।

বিবিএসের ‘রিপোর্ট অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রারাল স্টাটিসটিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে দেশে চালের উৎপাদন ছাড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি ৭২ লাখ টন। উৎপাদিত চালের সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ বা প্রায় ২৮ লাখ টন ক্ষতি হচ্ছে। এরমধ্যে হারভেস্টকালীন ক্ষতি ১১ লাখ ২৩ হাজার এবং পোস্ট হারভেস্টকালীন ক্ষতি ১৬ লাখ ৮৮ হাজার টন। ধানের আবাদ ও চালের বিপণন পর্যায়ে উন্নত প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকীকরণের অভাব থাকায় চালের এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। পদ্ধতি ও প্রযুক্তিগুলো কৃষক ও বিপণন পর্যায়ে না পৌঁছানোও অনেকটা দায়ী রয়েছে। পর্যাপ্ত নীতি ও আর্থিক সহায়তার অভাব রয়েছে। শুকানোর পদ্ধতিগত ত্রুটি, বিপণন পর্যায়ে দুর্বলতা, সীমিত গুদামজাতকরণ, দুর্বল পরিবহন এবং প্যাকেজিংয়ের অভাবেই চালের অপচয় হচ্ছে। এজন্য চালের বাজারে এখন প্রয়োজন নতুন বিপণন কৌশল। সেই কৌশলে চালের প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে। ধান থেকে চাল এবং চাল থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর নানান পর্যায়ে বড় একটি অংশ অপচয় কমাতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রের উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে কাজ করতে হবে।

চালের এ ধরনের অপচয়ের কারণে দেশের অর্থ ও সম্পদের অপচয়ও হচ্ছে। আর দেশের দরিদ্রতা থেকে মানুষকে উন্নতির বা এসডিজির যে পরিকল্পনা রয়েছে সেটিও বাধাগ্রস্ত করবে। অপচয় রোধে রাষ্ট্রের উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। ফসলোত্তর ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিশেষ কৃষি ও চাল প্রক্রিয়াকরণে যান্ত্রিকীকরণ আরো জোরদার করতে হবে। খাদ্যশস্যের এ ধরনের অপচয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যেমন হুমকি, তেমনি খাদ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় মানুষ। ধানের অপচয় রোধ করা সম্ভব হলে দেশের যে ঘাটতি রয়েছে সেগুলো অনেকটাই মেটানো সম্ভব। আবার কৃষিখাতে সরকারের বড় একটি অংশ ভর্তুকি বাবদ দিতে হচ্ছে। সেখানেও খরচ কমিয়ে রাষ্ট্রের অর্থের সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। সেখানে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে চালের বাজার আরো ভোক্তাবান্ধব হবে। তাই চালের বাজারের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো দূর করে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি কার্যকর উন্নয়ন পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। 

অনুপ কুমার সাহা : প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা, নাবিল গ্রুপ। 
আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
এবার মদিনায় ভারি বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা
জানাজায় গিয়ে আইফোন হারালেন ধর্মমন্ত্রী
নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পূর্ভাবাস, সতর্কতা জারি
রাতে যেসব জেলায় নামতে পারে ঝড়-বৃষ্টি
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
দৈনিক আজকালের খবরের এজিএম মো. সিরাজুল ইসলাম খান আর নেই
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেজবাহ্ উদ্দিন
ব্র্যাক ব্যাংকের কর ফাঁকি, আদায়ে এনবিআরের অভিযান
রাতে যেসব জেলায় নামতে পারে ঝড়-বৃষ্টি
সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে স্মার্ট কোটালীপাড়া গড়ে তুলবো : জাহাঙ্গীর হোসেন
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft