শিরোনাম: |
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে যাবেন কি না আলোচনা করছেন ড. ইউনূস
|
![]() ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদ এ তথ্য জানান। গত বুধবার সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে ইউনূসের কাছে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেয়া হয়। লামিয়া মোর্শেদ বলেন, আমরা আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছি। আগামী শনিবার (২৫ জুন) দেশের বৃহত্তম এই সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। সেখানে ড. ইউনূস যাবেন কি না জানতে চাইলে লামিয়া বলেন, এ বিষয়ে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন। এরপর হয়তো সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই মুহূর্তে দেশে আছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন লামিয়া মোর্শেদ। ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠায়নি সরকার। তবে দলটির সাত নেতাকে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সেতু বিভাগ। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সেখানে যাবেন না। সেতু বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক। পাশাপাশি সেতু নির্মাণে কাজ করা বিদেশি কর্মীদেরও থাকতে বলা হয়েছে। ইউনূসকে সেতু উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানালেও গত কয়েক দিনে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে এবং এই সেতু নিয়ে নানা সময় নেতিবাচক মন্তব্য করার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দেয়ার কথা বলে তুমুল আলোচনা তৈরি করেছেন সরকারপ্রধান। এই মন্তব্যের কারণে বিএনপি বিক্ষোভও করেছে। সরকারপ্রধান বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার ঘটনায় ড. ইউনূসসহ বেশ কয়েকজন ষড়যন্ত্রে জড়িত। আজকালের খবর/বিএস |