শিরোনাম: |
আসামির দায়ের কোপে কনস্টেবলের কবজি বিচ্ছিন্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
|
![]() রবিবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর লালারখিল ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত আসামি কবির আহামদ (৩৫) লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন। লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, লালারখিল গ্রামে দু’পক্ষে মারামারির ঘটনায় গত ২৪ মার্চ দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি কবির। লালারখিল গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন কালু দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩০৭, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৪৪৮, ৩৮০, ৪২৭, ৫০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। রবিবার সকালে মামলার আসামি কবিরকে ধরতে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম তার বাড়িতে যায়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুজিবুর রহমান, কনস্টেবল জনি খান ও শাহাদাত হোসেন। ওসি আতিকুর বলেন, বাড়িতে ঢুকে অভিযান শুরুর পর কবিরকে প্রায় ধরে ফেলেছিল আমাদের পুলিশ সদস্যরা। এসময় তিনি কনস্টেবল জনি খানের বাম হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারে। এতে জনি খানের বাম হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন কবির পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে মামলার বাদী আবুল হোসেন কালুও ছিলেন। আসামি কবির যাবার সময় তাকেও দা দিয়ে কোপ মারে। এতে আবুল হোসেনও আহত হন। আহত পুলিশ কনস্টেবল জনি খানকে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে এনে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দুজনের অবস্থায় আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আজকালের খবর/এসএইচ |