চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছে গুলশান-১ নম্বর অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। গত ৭ জুন গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটলেও বুধবার তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, পরীমনি ওই ক্লাবের সদস্য নন। ঘটনার ৭ জুন রাতে তিনি ক্লাবে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতকির এক পর্যার্য়ে তিনি ( পরীমনি) ক্লাবের গ্লাস (পানপাত্র) এবং স্ট্রে ভাঙচুর করেছেন বলে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া ১৪ মিনিট ২ সেকেন্ডের সাক্ষাতকারে ক্লাবের সভাপতি অভিযোগ করেছেন। ওই সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ওইদিনের ঘটনায় পরে ঘটনাস্থল থেকে একজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আরো বলেন, ৯৯৯ থেকে গুলশান থানায় ফোন করলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখতে পায়। এরপর পুলিশ থানায় ফিরে এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
এ ব্যাপারে গুলশান থানা জানায়, সাধারণত ৯৯৯ থেকে কোনো ডাক পেলে সেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কী পেল না পেল ইত্যাদি অবগত করতে হয়। তার অংশ হিসেবেই সেদিনের ক্লাবের ঘটনাটি পুলিশ জিডি আকারে লিখে রাখে।
গুলশান থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৭ জুন গভীর রাতে। তবে এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা করেননি। তবে পুলিশ নতুন করে ওই ঘটনা তদন্তে ক্লাব পরিদর্শনে যাবে বলে জানিয়েছে ডিসি সুদীপ ।
যদিও ঘটনার এতোদিন পর এমন অভিযোগকে ফালতু' আখ্যা দিয়েছেন বিতর্কিত নায়িকা পরীমনি। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, এতোদিন পর কেন অভিযোগ?
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লাব সদস্য জানিয়েছেন, পরীমনি সেখানে গিয়েছিলেন আমাদের এক সদস্যের সঙ্গে। যেহেতু সিনক্রিয়েট হয়ে গেছে তাই ওই সদস্যকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর রবিবার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।
সোমবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। ওই দিনই প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।